শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯
মো: ওবায়েদ উল্যাহ ভূলন: আওয়ামী লীগে যখন শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা, তখন ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার নেতা-কর্মীদের হাতে নিহত হলো আবরার ফাহাদ। এটা কি দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, না কি অন্য কোন নির্দশনা তামিল? তার আগেও দেখা গেলো ঢাবিতে বিরোধী ছাত্র সংগঠনকে মারধর ও মধুর কেন্টিনে বসতে না দেয়ার ঘটনা।
আমার প্রশ্নটা হচ্ছে আবরার ফাহাদ এখানে কোন শব্দটা মিথ্যা বা ভূল লিখেছে? এ ছাত্রলীগের ছেলেদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আজকে আবরার যে কথা বলেছে সে কথা আমিও বলি। আপনি ভারত থেকে তিস্তার পানি নিয়ে আসতে পারেন না, আপনি ফেনী নদীর পানি তাদেরকে কি কারণে দেবেন?
স্বাধীনতার পরে এ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ভারতের বন্দর কিছু সময়ের জন্য চেয়েছিলেন তারা নিজের রাস্তা নিজে দেখে নিতে বলেছে। আজকে মংলা নিয়ে জংলা সাজানো হচ্ছে। আমার দেশের গ্যাসের সংকট। আপনি নতুন গ্যাস সংযোগ দিতে পারছেন না অখচ লাভের কথা বলে আমার দেশে থেকে গ্যাস দিয়ে দিচ্চ্ছেন কিন্তু কথা বলাযাবে না? কথা বললেই হত্যা করা হচ্ছে।আসলে এটা হচ্ছে ক্ষমতার রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। ভিন্নমত, ভিন্ন দল, ভিন্ন মানুষ সহ্য না করার স্বৈরতান্ত্রিক অপসংস্কৃতির রাজনীতি। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন আর গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা হয় না। এই কারনে যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তার গর্ভে জন্ম নেয়া রাজনৈতিক কর্মীদের শিক্ষাটা হলো বিপক্ষের দল ও মতকে দমন করো। যদি প্রতিপক্ষ নিঃশেষ হয়ে যায়, তখন নিজ দলের ভিন্ন গ্রুপকেও নিশ্চিহ্ন করো।তাই শুদ্ধি অভিযানে দৃশ্যমান অনেক ঘটনার পরও কিছুতেই রাজনীতির পরাক্রমশালী দানবদের ঠেকানো যাচ্ছে না।