নবীনগর মেঘনা নদী ভাঙ্গনে দড়ি লাপাং ও চরলাপাং গ্রামদুইটি বিলীনের পথে!
মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০
দুইটি গ্রাম বিলীনের পথে
সাধন সাহা জয়, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নে দড়ি লাপাং ও চরলাপাং গ্রাম দুইটি মেঘনা নদী ভাঙ্গনের ফলে বিলীন হওয়ার পথে । ওই দুইটি গ্রামে গত কয়েকদিনে নতুন করে প্রায় ২০০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ।
নিঃস্ব হয়ে গেছে গোটা ২০-২৫টি পরিবার। নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের দড়ি লাপাং,চরলাপাং ও চিত্রী সহ মেঘনার পাড়ের দাসকান্দি, নজরদৌরত, কেদারখোলা, মানিকনগর, সাহেবনগর, নয়াপাড়া, শ্রীঘর, নাসিরাবাদ, সোনাবালুয়া, নুরজাহানপুর, মুক্তারামপুর, ধরাভাংগা গ্রাম মেঘনা নদীরপাড়ে অবস্থিত।
অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করার ফলে প্রায় প্রতিবছরই নদী ভাঙ্গনে ওইসব গ্রামের ফসলী জমিসহ শত শত ঘর বাড়ি দোকান পাট মেঘনানদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় ফলে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে গ্রামগুলো।
নতুন করে এ ভাঙ্গনের খবরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত সচিব মন্টু কুমার বিশ্বাস গতকাল বিকেলে ওই দুইটি গ্রামসহ মেঘনা পাড়ের গ্রামগুলো পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন,"এমপি মহোদয় বিষয়টি আমাদের অবগত করিয়েছেন,এই দুইটি গ্রামের অবস্থা খুব শোচনীয়,এ গ্রামগুলো রক্ষায় তাৎক্ষনিক কিছু ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ উপজেলায় নদী ভাঙ্গন রোধে বেরী বাধঁ নির্মান প্রকল্প আমাদের চলমান প্রক্রিয়া, পুরো অঞ্চলটি আমাদের প্রকল্পের আওতাধীন, কিছু অংশ বেরী বাধঁ নির্মান করা হয়েছে,কিছু অংশ জিয়ো ব্যাগ দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়েছে এবং পুরো অঞ্চলের প্রকল্প প্ল্যানিং কাজ প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে।
করোনা মহামারি কাজের কিছুটা বাধাঁ সৃষ্টি করেছে,আশাকরছি আগামী ২০২২ সালের মধ্যে প্রল্পের কাজ শেষ হবে।
এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুমিল্লা সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম,প্রধান প্রকৌশলী জহির উদ্দিন চৌধুরী,নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস,আ’লীগ নেতা মো. নজরুল ইসলাম, চেয়ারম্যান ফিরোজ মিয়াসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।