থানার অভিযোগ সুত্রে ও ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়, উবায় মন্ডল, দুলাল মন্ডল, ইমারত সরদার গং ভবানীপুর মৌজার ভৈরব পাড়ায় ৩৫বিঘা জমি ক্রয় করে। ৩৫ বিঘার পাশেই নজু মন্ডল ৩বিঘা জমি ক্রয় করে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে। নজুর ৩ বিঘা জমির মাটি কেটে খাল তৈরী হলে পাশ্ববর্তি উবায় মন্ডল গংদের কেনা জমিতে জোর পুর্বক মাটি কাটতে থাকে নজু মন্ডল। এ ঘটনা স্থানীয় মাতবরদের জানালে উবায় মন্ডল গংদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেন। এ ঘটনা স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে কেন জানানো হয়েছে ক্ষিপ্ত হয়ে নজু মন্ডল দলবল নিয়ে, দুলাল মন্ডল ও তার আত্বিয় স্বজনের বাড়িতে গতকাল বুধবার দুপুরে হামলা করে। হামলার সময় তারা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ১০জনকে আহত করে। স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ৪জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কতব্যরত চিকিৎসক। নজু বাহিনী গুলি করেই শান্ত হয়নি। তারা দুলাল মন্ডলসহ কয়েকটি বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলায় গুরত্বর আহতরা হলেন, জহুরুল হক(৩৫), বারিক মন্ডল(৪৫), মহসীন(৩২)সহ ১০জন।     
 এ ঘটনায় দুলাল মন্ডলের ছেলে তন্ময় মন্ডল বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের  করেন। এদিকে দুলাল মন্ডলের অভিযোগ হেমায়েতপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্য মোঃ দুলাল উদ্দিনের সামনে ও উপস্থিতিতে আমাদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে নজু মন্ডল। পুলিশ ঘটনার সময় উপস্থিত থাকলেও নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য মোঃ দুলাল উদ্দিনের মুঠোফোনে কল করা হলে অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার সময় আমরা আইন শৃংখলা রক্ষার জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা করেছি। সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাবনা সদর থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহম্মেদ জানান, এখনও অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে দুলাল মন্ডলের ছেলে তন্ময় মন্ডল জানান ঘটনার দিনগত রাতেই পাবনা সদর থানায় আমি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তা এখনও মামলা হিসেবে অর্ন্তভুক্ত হয়নি। কেন হয়নি তাও জানিনা। ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারও রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ হয়ে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হতে পারে। এদিকে আহতদের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশংকাজনক।  তাদের মধ্যে কেউ মারা গেলে নির্যাতিতরা প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠতে পারে। স্থানীয় সাধারন মানুষ আতংকে ও উৎকন্ঠায় দিন যাপন করছে। আইন শৃংখলাবাহিনীর তৎপরতা ও সঠিক প্রয়োগ হলে সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতে পারে মনে করেন, স্থানীয় বাসিন্দারা।