দেশের মেধাই আজ নিদারুণ দুর্বিপাকে,সবাই ব্যস্ত ভাস্কর্য আর মূর্তি নিয়ে!
রবিবার, ০৩ জানুয়ারী, ২০২১
ওবায়েদ উল্যাহ
মো: ওবায়েদ উল্যাহ ভূলন: গেলো বছরের নাম দু হাজার বিশ না হয়ে দু হাজার বিষ হলেই ভালো হতো। আমরা যে বছরটি অতিক্রম করলাম তার মতো কঠিন নিদারুণ আর বিভীষিকাময় কোনো বছর আগে দেখিনি।
আমরা দেখেছি কঠিন সময়। বহু পতন দেখেছি। এমন সময় আসেনি আগে। শুধু কি বাংলাদেশ? পুরো দুনিয়া আজ আতংকে ভয়ে মুহ্যমান।
গেল বছরের শেষদিকে আমরা কি খবর পেলাম? বিশ্বে জ্ঞান বিজ্ঞান জানা দেশের সূচকে আমরা ১৩৮টি দেশের তালিকায় আছি ১২১ নাম্বারে। যে পাকিস্তান কে আমরা আয় টাকার মান শিশু মৃত্যু নারী উন্নয়নে হারিয়েছি বলে গর্ব করি সে পাকিস্তান ও আছে আমাদের আগের সারিতে। এ কথা মানতে হবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও জড়িতরা বাদের লেখাপড়া নিয়ে সরকারে কোনো মাথা ব্যথা নেই। একটি দেশের ভিত্তি যে মেধা সেটাই আজ নিদারুণ দুর্বিপাকে। কি ভয়াবহ কথা। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এ দু:সংবাদ নিয়ে আমরা প্রবেশ করছি আরেকটি নতুন বছরে। আপনি আমি আমরা যে দেশে যে সমাজে বাস করি না কেন একটা বিষয় দেখি দেশে লেখাপড়া আছে সবার নিচে। এই যে স্কুল কলেজ বন্ধ অনলাইনে কোনোরকমে কাজ সারা এর প্রতিকার নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়? সবাই ব্যস্ত ভাস্কর্য আর মূর্তি নিয়ে। করোনার এই ভয়াবহতার পর ও দেশে হত্যা জখম খুন ধর্ষণ কমেনি। বেড়েছে অনাচার।
সেসব কিছু বাদ দিয়ে একদল মানুষ নেমেছে দেশ ও জাতিকে পেছনে টানার কাজে। বিশ্বায়নের অপব্যাখ্যা আর ভুল প্রয়োগ এজন্য কম দায়ী না। সাথে আছে প্রতিবেশী দেশের জন্য যৌক্তিক ও অযৌক্তিক প্রেম এবং বিরোধিতা। হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ও প্রগতিশীল বাঙালি মুসলমানের জন্য এমন কঠিন সময় আগে আসেনি। কারণ আগে রাষ্ট্র ও সরকারে থাকা মানুষেরা গোঁড়া হলে ও মানুষ ছিলেন উদার আর প্রগতিশীল। এখন উল্টৌ এবং কে যে কোধায় কোন অবস্থানে কেউ জানে না। তবু আশা করি পৃথিবীর অন্যান্য মানব জাতির মতো বাংলাদেশে ও প্রবাসে বাংলাদেশীরাও সকলেই এক বুক আশা নিয়ে ভাবছে,নতুন বছর নিয়ে আসুক নতুন আশা,পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ুক শুধুই ভালবাসা। ২০২১ নতুন বছরে পৃথিবীর মানুষ পাবে নতুন ছন্দ ও নতুন ভাবে বাঁচার প্রেরণা , নতুন বছর , নতুন স্বপ্ন , চাই করোনা মুক্ত পৃথিবী। সকল হানাহানি ভেদাভেদ সব ভুল বুঝাবুঝির অবসন হোক নতুন বছরে।করোনা পরিবর্তিত পৃথিবীতে মানুষের মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটার সাথে সাথে ঘুষ ও দূনীর্তি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে রাষ্টীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে মনে করি।