সংবাদ সম্মেলনে শ্রীমতি ললিতা মুরমু বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার পয়ত্রিক সম্পত্তি দখল করে জাল দলিল সৃষ্টি করে ভোগদখল করে খাচ্ছে ভূমি দস্যূরা। আমরা বাটোয়ারা মামলা করি যাহার মামলা নং-১৭৩/৭৪ । মামলার বাদী ছিলেন, লোদগা কিস্কু গং। বিবাদী ছিলেন, গাংগু কিস্কু, শ্রীমতি দূরগী কিস্কু। উল্লেখ্য যে, ১০/০২/৭৫ ইং তারিখে প্রাথমিক এবং চূড়ান্ত রায় হাসিল করে ১৮/০২/৭৫ ইং তারিখে জমি বাবদ মিস কেস ঢও/৭২/৭৬-৭৭, ঢও/৯১৪/৮১-৮২, ঢও/৯১৭/৮১-৮২, ঢও/৯১৬/৮১-৮২ নামজারী কেস মূলে খারিজ করেন মামলার বাদী। মামলার বাদি ছিলেন লোদগা গং। জমির পরিমান-৩২.৩৩ একর। ইতি পূর্বে গাংগু কিস্কু মূলে ১৭৩/৭৪ বাটোয়ারা মামলা রায়ের ডিগ্রীর বিরুদ্ধে মহামন্য হাইকোটে ১৭/৭৯ সং মামলা দায়ের করলে মালা থাকা অবস্থায় গাংগু কিস্কু মৃত্যু বরণ করেন। সেই সুয়োগে গনেশ কিস্কু বিরোধ পূর্ণ জমির মালিক ওয়ারীশ কোন কিছু না হওয়া সত্তেও দীর্ঘ দিন পর উক্ত ১৭/৭৯নং মামলায় এফিটেভিড কারি পিটিশনার তথা পক্ষভূক্ত সন ৮৭ সালে। মূল মালিক মহামন্য হাই কোটে চূড়ান্ত ডিগ্রী হাসিল করে ১৯৯৭ সালে। ১৮/০৮/১৯৭৫ ইং তারিখে উপরোক্ত খারিজ মহামন্য হাইকোটের আদেশ মতে ঘোড়াঘাট সহকারী কমিশনার ভূমি মিসকেস নং- ঢও/৩৮/২০০৩-০৪ নং কেসে লোদগা কিস্কু গংদের নামীয় খারিজ বাতিলের আবেদন করলে সহকারী কমিশনার ভূমি ঘোড়াঘাট কে হাই কোটে ১৭/৯৭ নং মামলার রায় দৃষ্টে গত ২৬/১০/২০০৪ ইং তারিখে উক্ত খারিজ সমূহ বাতিলের আদেশ দেন।
মালার অভিযোগকারী পক্ষ নালীশি দাগের জমি বাবদ সহকারী কমিশনার ভূমি ঘোড়াঘাড় ঢও/৪৩৮/২০১০-২০১১ নং খারিজ কেস দাখিল করলে আদালত সার্বিক বিবেচনায় উক্ত খারিজ আবেদন মঞ্জুর করেন। অভিযোগকারীর পক্ষের নামীয় উক্ত খারিজ কেস বাতিলের জন্য শ্রী গণেশ কিস্কু উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ঘোড়াঘাট ঢওওও/০৮/২০১১-২০১২ নং মিসকে দায়ের করেন। উক্ত মিসকেস সহকারী কমিশনার ভূমি ঘোড়াঘাট দিনাজপুর সার্বিক বিবেচনায় গত ২৯/০৩/২০১২ ইং তারিখে খারিজ বাতিলের আবেদন না মঞ্জুর আদেশ দেন। উক্ত আদেশ পর্যালোচনায় বিজ্ঞ আদালতে উল্লেখ্য করেন যে, গনেশ কিস্কু দীর্ঘদিন পর হাইকোটের চলমান মামলা ১৭/৭৯ এর এভিডেভিটকারী পিটিশনার তথ্য পক্ষভূক্ত হন। কিন্ত তার নাম বা তার পিতার নাম নালিশি জমির সি,এস বা এস.এ রেকডে উল্লেখ্য নাই। বাদী পক্ষ তথ্য গণেশ কিস্কু দাখিল কৃত ওয়ারীশন সনদে এস,এ খতিয়ানের ওয়ারীশনদের মধ্যে কোন ধারাবাহিকতা লক্ষ করা যায়। বাদী পক্ষ গনেশ কিস্কু বা পিতা মুন্সি কিস্কু গং রেকডীয় মালিকের কোন ওয়ারিশ নয়। খতিয়ান নং-৪০৮ নং জেএলনং-১০৯, মৌজা কালুপুরক বার্ষিক ৪ একর ৯৮ শতক জমি প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় দখল করে খাচ্ছে। এলাকাবাসী মধ্যে সরকার মুরমু, গোপিন মুরমু, সেবা মুরমু, ললিতা মুরমু ও লেবু মুরমু জানান শ্রী বিশু মুরমু, শ্রী কবিরাজ হেম্ব্রম দীর্ঘ দিন ধরে জাল দলিল তৈরি করে ঐ জমি দখল করে খাচ্ছে। এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলার তহসিদার মোঃ জিল্লুর রহমান এর সাথে জাল দলিল সৃষ্টি ও খারিজ দেওয়ার বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, আমি যোগদানের আগে এ সব খারিজ খাজনা হয়েছে। আমার সময় কালে নয়। কালুপুকুর গ্রামের শ্রী মতি ললিতা মুরমু জমি উদ্ধারে মাননীয় প্রধান আসু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসময় গ্রামের বেশ কিছু আদিবাসী উপস্থিত ছিলেন।