এ সুযোগে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে এম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসযোগে কুমিল্লা, ব্রাম্মনবাড়িয়া, চাঁদপুর, লাকসাম, চান্দিনাসহ আসপাশের জেলাগুলোর প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা করে ভাড়ার মাধ্যমে যাত্রী আনা-নেয়া করা হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে রাসেল, সুমনসহ ১৫/২০জনের একটি অসাধুচক্র বাস স্ট্যান্ডে এ রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
লাকসামগামী আবুল হোসেন বলেন, চিকিৎসার জন্য ২দিন আগে ঢাকা আসছিলাম। চিকিৎসার কাজ শেষ বাড়িতে যাব। মাইক্রোবাসে কুমিল্লা বিশ্বরোড পর্যন্ত ১হাজার টাকা ভাড়া চায়। পকেটে আছে ৫’শ টাকা। কিভাবে বাড়িতে যাব চিন্তায় আছি।
ব্রাম্মনবাড়িয়াগামী ছাদেক সিএনএনবিডি২৪ডটকমকে বলেন, আমি খিলগাও একটি দোকানে কাজ করি। লকডাউনের কারণে দোকান বন্ধ রাখছে মালিক। গতকাল বাড়িতে যেতে পারিনা। আজ বাড়িতে যেতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে এসেছি। একটি এম্বুলেন্স স্টান্ডে আছে। প্রতিজনে ভাড়া চায় ১৫’শ টাকা।
তাছাড়া জরুরী কাজে অনেকেই ঢাকায় এসে আটকা পড়েছে। অনেকে তাদের দোকানপাট, কোচিং সেন্টার বন্ধের কারণে বাড়ি চলে যাচ্ছে। তাদের নিয়মিত ১’শ থেকে ২’শ টাকার ভাড়া গুনতে হচ্ছে ১হাজার থেকে ২ হাজার টাকা।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অরাজকতা চলতে থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনের কোন তৎপরতা ছিলনা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন এবং একাধিক যাত্রী।
সায়েদাবাদবাস টার্মিনাল ফাঁড়ি পুলিশ ইনচার্জ এস আই আইয়ুব সিএনএনবিডি২৪ডটকমকে বলেন, সকাল থেকে আমরা বাস টার্মিনালে কাজ করছি। আমরা যখন একটু পানি খেতে বা বিশ্রাম নিতে আসি তখনই বাস টার্মিনালে একটি চক্র এম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস ও প্রাইকেটকারের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে যাত্রী পাঠাচ্ছে।