উপাচার্য বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে রোবটিক সার্জারি চালুর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্টও যথাসম্ভব দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। সব মিলিয়ে বিএসএমএমইউয়ে উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে যা যা করণীয় তার সবকিছুই করা হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে রোগীদের সুবিধার্থে ও বিশেষ বিশেষ সার্জারি এবং বিশেষ বিশেষ উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই হাসপাতালের দরজা উন্মুক্ত রাখা হবে। যাতে করে সেখানে দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ, অবসরপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ শিক্ষকগণকেও কাজে লাগানো যায়, সেটা বিবেচনা করা হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠ একটি স্বাধীন দেশ গঠনে বিরাট অবদান রেখেছে। জীবনের জন্য স্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বর ঠিক না থাকলে চাকরি, বিবাহসহ নানা বিষয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। অপরদিকে সুন্দর কণ্ঠ সহজেই মানুষকে মুগ্ধ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরযন্ত্রের সব ধরনের সমস্যা ও রোগের উন্নত চিকিৎসাসেবা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, স্বরযন্ত্রের রোগ নিরাময় ও সমস্যাসমূহ দূরীকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক কলাকৌশল রপ্ত করার সঙ্গে সঙ্গে সর্বশেষ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ জ্ঞান ও চিকিৎসেবা নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে এই কনফারেন্স জ্ঞান বিতরণ, বিনিময় ও আদান প্রদানে বিরাট অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল্যারিংগোলোজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক  ডা. কামরুল হাসান তরফদার। 
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, অধ্যাপক ডা. এসএম খোরশেদ আলম মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম জহিরুল হক সাচ্চু। 
সম্মেলনের বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. শেখ হাসানুর রহমান বাবর। ল্যারিংগোলোজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং বিএসএমএমইউ’র ডিপার্টমেন্ট অব অটোল্যাংরোলজি-হেড নেক সার্জারির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সে ভারত ও সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।