সুতরাং আন্দোলন কখন, কোনদিকে রূপ নিবে সেটা রাস্তাই বলে দেবে। কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারে না জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না। ’ 
আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে  
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা গুরুতর’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবচেয়ে বেশি যিনি সংগ্রাম-লড়াই করেছেন, দেশের জনপ্রিয় নেত্রী, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া এখনও গৃহবন্দি অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। গতকাল রাতে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। আজ সকালে একটু ভালো বোধ করায় আবার তাঁকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, তিনি এখনও সঙ্কটাপন্ন অবস্থার বাইরে নন। তাঁর চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, জীবন রক্ষার্থে অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিয়ে বাইরের দেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।’
তৃণমূল বিএনপিতে আপনাদের সাবেক নেতাদের দেখা যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তৈমূর আলম খন্দকার ও শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপির সদস্য নন। তারা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তারা আরেকটা দল করতেই পারেন। বিএনপি একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। এই দলে এমন খড়কুটো অনেক এসেছে আবার চলে গেছে। এতে বিএনপির কিছু যায়-আসে না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।