গাজা সংঘাত: যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে লাদেনের লেখা চিঠি
শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩
আল কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, সিএনএন বিডি ২৪.কম: যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নিহত সাবেক আল কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেনের একটি চিঠি সমাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এক টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে এই চিঠির ভিডিও ভাইরাল হয়।
চিঠিটি এমন একসময়ে আলোচনায় আসল যখন মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতিতে কেন্দ্র করে ইসরাইলের ও হামাসের মধ্যে অসম লড়াই চলছে।
ব্রিটিশ সাময়িকী টাইমের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আল কায়েদা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর (যা নাইন-ইলেভেন নামেও পরিচিত) মঙ্গলবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থাপনার ওপর চারটি আত্মঘাতী হামলা চলায়। এ হামলায় দুই হাজার ৯৯৭ জন নিহত, ৬ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। সে ঘটনার এক বছর পর ২০০২ সালে বিন লাদেন মার্কিন জনগণকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লেখেন।
চিঠিতে আল কায়েদার সাবেক এই প্রধান ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি দখলদারত্বকে সমর্থন করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করেন এবং দাবি করেন, ইহুদিরা আমেরিকার নীতি, পুঁজি ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে।
সেই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ইসরাইল রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটি একটি অপরাধ এবং এই রাষ্ট্রকে অবশ্যই মুছে ফেলা উচিত। সেই চিঠিতে তিনি হুমকি দেন, যারা ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যে বা যারা ভূমিকা রেখেছে, তাদের চড়ামূল্য দিতে হবে।
সেই ঘটনার ২০ বছরেরও বেশি সময় পর হঠাৎ আবারও জনপ্রিয় সামাজিকমাধ্যম টিকটকে বিন লাদেনের চিঠি ভাইরাল হয়। ধারণা করা হচ্ছে, লিনেট অ্যাডকিনস নামে একজন টিকটক তারকার অ্যাকাউন্ট থেকে বিষয়টি সামনে আসে। টিকটকটিতে ‘লেটার টু আমেরিকা’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়। লিনেট অ্যাডকিনসের সেই ভিডিও প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখ মানুষ দেখেছে। পরে অবশ্য টিকটক কর্তৃপক্ষ সেই ভিডিও মুছে ফেলে।
টিকটক মুছে ফেললেও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিনেটের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও থেকে দেখা যায়, লিনেট বলছেন— আপনারা যে যেখানে আছেন, যা করছেন তা বাদ দিয়ে এই এ লেটার টু আমেরিকা—পড়ুন এটিই আমি চাই। এটি মাত্র দুই পৃষ্ঠা।’
এদিকে এই ভিডিওর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটারে) বলেছেন, এ ধরনের প্রতিক্রিয়া মূলত সন্ত্রাসবাদীদের প্রতিই সহানুভূতি দেখানো হয়।
তিনি বলেন, তারা এখন মনে করেন, নিপীড়নের জবাব হিসেবে সন্ত্রাসবাদ একটি বৈধ পদ্ধতি এবং তারা এটাও মনে করে যে, আমেরিকায় ৯ /১১-এর মতো আক্রমণের যোগ্য।