৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব : মির্জা ফখরুল
বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
সৈয়দ বদরুল আলম, নিজস্ব প্রতিনিধি: আমাদের আন্দোলনের কোনো ক্ষতি হয়নি। আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত রাখব।
বাংলাদেশে ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকারের জন্য মানুষ সংগ্রাম করছে। আমরা জনগণের বিজয় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।
দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেরাণীগঞ্জ কারাগারের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ জানুয়ারির একপক্ষীয় নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে গত ২৮ অক্টোবর এবং এর পরের সংঘর্ষ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ১১টি মামলা হয়। এর আগে ১০টিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তাঁর জামিন গতকাল মঞ্জুর করেন আদালত।
অন্যদিকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। এর আগে তিনি ৯টি মামলায় জামিন পান। গতকাল তিনিও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন পান।
গতকাল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালত তাদের জামিন আদেশ দেন। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ। এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলায় তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়।
জানা যায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালানো হয়। অভিযুক্তরা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়। গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৩ নভেম্বর তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনিও কারাগারে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১ মামলা ও আমীর খসরুর বিরুদ্ধে ১০ মামলা দায়ের করা হয়।