রোয়ানুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: সজীব কুমার বৌদ্ধ। ২২ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী রাজধানীর হাল্লাহ বাবিবুহার কলেজের অনার্সের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
সজীব লেখাপড়া নিয়ে অনেকদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছিল। যার শেষ পরিণতি হিসেবে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয় এই শিক্ষার্থী।
আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে খিলগাঁওয়ে নবীনগরের একটি বাসায় গলায় ফাঁস দেয় সজীব। পরে অচেতন অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সজীব মাদারীপুর সদরের উত্তর কলাগাছিয়া গ্রামের উপানন্দ বৌদ্ধের ছেলে। তিনি খিলগাঁওয়ের নবীনবাগে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের ফুফাতো ভাই শ্যামল বলেন, সজীব লেখাপড়া নিয়ে ডিপ্রেশনে ভুগছিল। শুক্রবার বিকেলে সে ফোন করে আমাকে বলে যে, ভাই তোরা আমার বাবা-মাকে দেখে রাখিস, আমি তোদেরকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাচ্ছি।
সজীবের এ কথায় আমি কাজ ফেলে দ্রুত তাদের বাসায় আসি। পরে জানতে পারি সে অনেকক্ষণ ধরে ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখেছে। দরজা ভেঙে দেখি সজীব গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।