১০ ঘণ্টা পর বকশীবাজারের সড়ক থেকে সরলেন শিক্ষার্থীরা
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী, ২০২৫
রোয়ানুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের সামনের সড়ক থেকে সরে গেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তারা সড়ক থেকে সরে যান।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে অস্থায়ী বিশেষ আদালত সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ শুরু করেছিলেন আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১০ ঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরে গেলেন তারা।
বিডিআর বিদ্রোহের বিচারকাজ আজ এই অস্থায়ী আদালতে চলার কথা ছিল। কিন্তু আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আদালত বসানোর প্রতিবাদ করছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। তারা এই আদালত সরিয়ে নেওয়ার দাবি করছেন। পরে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচারকাজ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে নির্মিত অস্থায়ী আদালতে স্থানান্তর করা হয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচারকার্য পরিচালনার জন্য বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত ভবনটিকে অস্থায়ী আদালত বানিয়ে বিচার পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে গত জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আদালত ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং পরবর্তীতে ছাত্রদের বাধার কারণে বিচারকার্য পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আসামিদের নিয়ে যাওয়া-আসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, আসামিদের কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হচ্ছে বিধায় ওই কারাগারে নির্মিত অস্থায়ী আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা করা গেলে আসামিদের আনা-নেওয়ার অসুবিধা দূর হবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
এদিকে, রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের এজলাস কক্ষের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে এজলাস কক্ষের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে জানান লালবাগ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লালবাগ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর বলেন, ‘আজ ভোরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুনে এজলাস কক্ষের চেয়ার টেবিল সব পুড়ে গেছে।’ তবে, আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আগুনের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, বহিরাগত কেউ এসে আগুন লাগাতে পারে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আগুনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।