সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫
সৈয়দ বদরুল আলম, নিজস্ব প্রতিনিধি: আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে প্রবাসে থাকা বাংলাদেশিদেরকেও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কাজ চলছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্য, প্রবাসীরাও যেন এবার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
দেশভিত্তিক আবেদন ও অনুমোদনের সংখ্যা:
সংযুক্ত আরব আমিরাত: ১৯ হাজার ১৯৭টি আবেদন, অনুমোদন ১০ হাজার ৬২৭টি
সৌদি আরব: ৩ হাজার ৫৫৪টি আবেদন, অনুমোদন ১ হাজার ৭৪টি
যুক্তরাজ্য: ৮ হাজার ৫২৯টি আবেদন, অনুমোদন ৩ হাজার ৯৯টি
ইতালি: ৬ হাজার ৩৭২টি আবেদন, অনুমোদন ১ হাজার ৮৪৪টি
কুয়েত: ৩ হাজার ৮৭২টি আবেদন, অনুমোদন ১ হাজার ৩৮টি
কাতার: ২ হাজার ৮৩২টি আবেদন, অনুমোদন ৯৪৪টি
মালয়েশিয়া: ৯৪৮টি আবেদন, অনুমোদন ২৬০টি
এছাড়াও সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন হয়েছে; দেশ দুটি থেকে আসা আবেদনের তথ্য এখনও একীভূত করা হয়নি।
বিদেশে বসে ভোটার হওয়ার জন্য প্রবাসীদের জন্য চারটি তথ্য বাধ্যতামূলক:
ক। অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্র (ফরম-২(ক))
খ। মেয়াদসহ বাংলাদেশি পাসপোর্ট
গ। অনলাইন জন্ম নিবন্ধন
ঘ। পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
এগুলো বাধ্যতামূলকভাবে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় তথ্য:
বিশেষ এলাকার নাগরিকদের জন্য “বিশেষ তথ্য ফরম”
শিক্ষা সনদ (JSC/SSC/HSC/সমমান)
পিতামাতার এনআইডি বা মৃত্যু সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)
ড্রাইভিং লাইসেন্স/টিআইএন (যদি থাকে)
দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
নিকাহনামা এবং স্বামী-স্ত্রীর এনআইডি (যদি প্রযোজ্য হয়)
নাগরিকত্ব সনদ (কাউন্সিলর/চেয়ারম্যান/মেয়র/সিইও কর্তৃক প্রদত্ত)
ইউটিলিটি বিলের কপি বা বাড়িভাড়ার চুক্তিপত্র ও বাড়িওয়ালার অনাপত্তিপত্র (ভাড়াটিয়া হলে)
বাধ্যতামূলক নয় এমন তথ্য জমা দিতে না পারলে প্রবাসী নাগরিকের দেশে বসবাসকারী আত্মীয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া যাবে।
নির্বাচন কমিশন ৪০টি দেশের প্রবাসীদের নিজ নিজ দেশেই ভোটার করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। এরই মধ্যে ৯টি দেশে কার্যক্রম চলছে। ডিসেম্বর নাগাদ আরও ১০ থেকে ১২টি দেশে এ কার্যক্রম শুরু করতে চায় কমিশন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় ২০১৯ সালে তৎকালীন কমিশন (কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে) প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগ নেয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে প্রবাসীদের জন্য ভোটার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবং ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় এ কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপেও সুযোগ চালু করা হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে কার্যক্রমে ভাটা পড়ে।
২০২২ সালে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আবারও এ কার্যক্রম শুরু হয়। আগের আবেদনগুলো পেছনে ফেলে নতুনভাবে কাজ শুরু করে তারা। বর্তমানে সেই কার্যক্রমকেই এগিয়ে নিচ্ছে নাসির কমিশন।