ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের কাছে সালাহ বলেন, ‘খুব পরিষ্কারভাবে মনে হচ্ছে কেউ চাইছে সব দোষ আমার ওপর পড়ুক। আগেও বলেছি, কোচের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো ছিল।
কিন্তু হঠাৎ করে দেখি, সম্পর্কটাই নেই। যেন ক্লাবই আমাকে বাসের নিচে ফেলে দিয়েছে।
লিডসের বিপক্ষে ম্যাচে পুরো সময় বেঞ্চে ছিলেন সালাহ। আর তাই লিভারপুলের জার্সিতে ৪২০ ম্যাচে ২৫০ গোল করা এই ফরোয়ার্ডের এমন পরিস্থিতি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে।
সালাহ বলেন, আমি বুঝতে পারছি না কেন এমন হচ্ছে। মনে হচ্ছে ক্লাবে আমাকে কেউ চায় না। আমি এই ক্লাবকে ভালোবাসি। কিন্তু আমাকে এভাবে দোষারোপ করা মেনে নেওয়া যায় না।
আমি আমার জায়গা অর্জন করেছি, রোজ লড়াই করে তা প্রমাণ করতে হবে এমন নয়।
৩৩ বছর বয়সী সালাহ আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স খেলতে ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় দলে যোগ দেবেন। এপ্রিলেই তিনি লিভারপুলের সঙ্গে দুই বছরের নতুন চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু এখন ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
গত মৌসুমে আরনে স্লটের অধীনে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পথে ২৯ গোল করেছিলেন সালাহ।
কিন্তু এবারের মৌসুমে নিজ ছন্দে নেই তিনি, ১৩ ম্যাচে গোল মাত্র চারটি। মনে হতে পারে এ জন্যই প্রথম একাদশে নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন না। অথচ লিভারপুলে এই মৌসুমে লিগে তার চেয়ে মাত্র এক গোল বেশি করে শীর্ষ গোলদাতা এখন হুগো একিতিকে।
এরই মধ্যে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবগুলো সালাহকে দলে টানতে উঠেপড়ে লেগেছে। সিমোনে ইনজাগির আল-হিলাল নাকি আগ্রহী তালিকায় রয়েছে। সূত্র বলছে, লিভারপুলও সালাহর ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘খোলা মনোভাব’ ধরে রেখেছে।
এদিকে লিডস ম্যাচে সালাহকে না খেলানো নিয়ে কোচ আর্নে স্লট বলেছেন, ‘৩-২ অবস্থায় আমাদের লক্ষ্য ছিল ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখা। তখন গোলের প্রয়োজন ছিল না। তাই মোকে নামাইনি।
সংবাদ সম্মেলনে স্লট আরো বলেন, মো (সালাহ) এত বছর ধরে ক্লাবে এতটা প্রভাবশালী ছিল যে, সে না খেললে আলোচনা হতেই পারে। এটা স্বাভাবিক।
লিভারপুলের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা সালাহ সর্বশেষ একাদশে শুরু করেছিলেন ২৬ নভেম্বর পিএসভি আইন্দহোভেনের বিপক্ষে। সে ম্যাচে ৪-১ গোলে হেরেছিল লিভারপুল।
দলের সবাই বাজে ফর্মে থাকলেও সালাহের উপর ক্লাবের পক্ষ থেকে দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কিনা তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।