কোটা থাকলেই আন্দোলন হবে। আজ এরা, কাল আরেকজন আসবে। এর থেকে আমি মনে করি কোটা পদ্ধতি বাতিল করাটাই ভালো হবে।
সরকার প্রধানের এমন ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করলেও তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নূরু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ও সংবিধান পর্যালোচনা শেষে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা বৃহস্পতিবার সকালে ঘোষণা করা হবে।
সংসদে প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর সেই ৭২ সাল থেকে চলে আসা কোটা ব্যবস্থার বিলুপ্ত ঘটবে কিনা এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলাও হয়নি। তবে কোটাভুক্ত বিষয়গুলোর মধ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের কোটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য অন্যভাবে চাকরির সুযোগ করে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে আমরাও একমত পোষণ করে বলতে চাই, দেশের অার্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটার যে সুবিধা, তা যে কোনো প্রক্রিয়ায় যেন সুযোগ রাখা হয়।
আমরা মনে করি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। সারা পৃথিবীতেই তাদের অধিকার সংরক্ষণে বিশেষ ব্যবস্থা রাখার নজির রয়েছে।
কোটা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আগে থেকেই সরকারি চাকরিতে কোটাভুক্তদের জায়গায় মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ৩৩তম, ৩৫তম এবং ৩৬তম বিসিএসে। আমাদের প্রত্যাশা, সব ধরণের নিয়োগে মেধাকেই অগ্রাধিকার দেয়া হোক। তবে উন্নয়নের সুফল থেকে কোনো জাতি, গোষ্ঠী বা শ্রেণি যেনো বঞ্চিত না হয়, এটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। সবকিছুর যেন একটা যৌক্তিক পরিসমাপ্তি হয়।
লেখক : বার্তা সম্পাদক সিএনএন বিডি.টিভি।