জামিন আবেদনের পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরেন এ্যাড. আহসান হাবীব জুয়েল। এর বিরোধীতা করেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. রুহুল আমিন তালুকদার। এরআগে এ মামলায় জামিনপ্রাপ্ত হয়েছেন উপজেলার ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলাম। এ মামলার অপর আসামী ক্বারী আবু জায়েদ খান সম্প্রতি মৃত্যু বরণ করেছেন।  
 অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলামের স্বাক্ষর জালিয়াতি মামলা বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ মামলায় দীর্ঘ হাজতবাসের পর জামিন পেয়ে ২০২০ সালের আগষ্ট মাসে গাইবান্ধার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে (সুন্দরগঞ্জ) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষক এহেতেশামুল হক ডাকুয়া। বাদী এ মামলায় প্রকৃত ঘটনা আড়াল রেখে আংশিক ও বিকৃত তথ্য প্রদর্শন করায় সার্বিক তদন্তে সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রমাণীত হয়নি মর্মে বিগত ২০২১ সালের ৭ মার্চ বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা গাইবান্ধা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। এতে তিনি সিআইডি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ থেকে সিডিআর ডিস্ক অনুযায়ী সহমত পোষণ করে উল্লেখ করেন। এতে অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলামের ব্যাপারেও একই মতামত পোষণ করেছেন। অপর আসামীর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণীত হওয়ায় সিআইডি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ থেকে সিডিআর ডিস্ক অনুযায়ী সহমত পোষণ করেন। পরবর্তীতে বাদীর নারাজীর প্রেক্ষিতে মামলাটি পূণঃতদন্তের নামে গাইবান্ধা ক্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) শামীম হাসান সরদার বাদীর আরজী বর্ণিত অভিযোগ মর্মে ২০২২ সালের ২৭ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদনে পূর্ববর্তী তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ থেকে সিডিআর ডিস্ক'র তথ্যাদী উপেক্ষা করে অধ্যক্ষ ও ২ সাংবাদিকসহ ৩ আসামীকে বহাল রাখার মতামত প্রদান করেন।
 ঢাকা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রেস ক্লাব-সুন্দরগঞ্জ'র সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক বিজ্ঞ আদালতের নিকট ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে বলে, বাদী তার আরজী বর্ণিত অভিযোগে (মামলায়) আমাকে জড়ানোর ব্যাপারটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও হয়রাণীমূলক। যা তথ্য প্রযুক্তি ও পূর্ববর্তী তদন্তে যদিও প্রমাণীত হয়নি। 
 বাদী মামলাটি দায়ের করতে গিয়ে বিকৃত ও আংশিক তথ্য প্রদর্শন করে তিনি নিজেই সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংগঠিত করেছেন। এতে সংবাদদাতা/প্রতিনিধি নিশ্চয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যায়নের কোন ব্যবস্থা নেই। আমাকে ডোনেট বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত পত্রিকার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণীত না হলেও প্রকৃতপক্ষে এ পত্রিকার সঙ্গে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বা কোন ছিলনা।
  তিনি আরো বলেন- আমার ২৫ বছরের সাংবাদিকতায় ইতঃমধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে নির্ভীক, বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষভাবে অনিয়ম-দুর্নীতি, জন-দুর্ভোগ, অনুসন্ধানীসহ নানা বিষয়ে সেরা প্রতিবেদক/ রিপোর্টার/সংবাদদাতা/গণমাধ্যমের প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও ব্যক্তির প্রদত্ত এ্যাওয়র্ডে ভূষিত হয়েছি। যা, আমাকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে অনুপ্রাণীত করছে।