মেয়র আইভী বলেন, তবে সিটি করপোরেশনের সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ায় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়াসার বিলসহ অন্যান্য বিষয়ে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। ইন্টারনেট স্বাভাবিক হলেই এসব সার্ভিস স্বাভাবিক হবে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের সুযোগে গত ১৮ ও ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ভবন ও সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ১৮ জুলাই আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় নগরীর দুই নং রেলগেটস্থ মিনি পার্কে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে ও গাছপালা উপড়ে ফেলে। নগর মিলনায়তনের পাশে সিটি করপোরেশনের বাণিজ্যিক ভবন দোয়েল সিটি প্লাজা-১ ভাঙচুর করা হয়। জিমখানা এলাকায় দোয়েল সিটি প্লাজা-৩ এ ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
এ দুইদিন নগরীর চাষাড়া থেকে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত নবাব সলিমুল্লাহ রোডের ডিভাইডারের বিভিন্ন অংশের গাছ, ফুলের টব উপরে ফেলে দুর্বৃত্তরা। ভেঙে ফেলে ডিভাইডারের বিভিন্ন স্থানের দেয়াল। ১৯ জুলাই শুক্রবার রাত পৌনে ১০টায় নগর ভবনে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। সিটি করপোরেশনের চারটি গাড়ি, ১০টি মোটর সাইকেল, কম্পিউটার, আসবাবপত্রে আগুন লাগিয়ে দেয়। বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য রাখা বিপুল পরিমাণ ওষুধপত্র, সিটি করপোরেশনের বিক্রয়কেন্দ্র এবং সিটি করপোরেশনের প্রায় দেড়শ বছর পুরোনো হেরিটেজ ভবন ভাঙচুর ও লুটপাট করে। নগর ভবন চত্বরে অবস্থিত ওয়ান ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক ভাঙচুর করে। এছাড়া, আলী আহম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে দুই দফায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা।
মেয়র আইভী বলেন, পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। সিটি করপোরেশন ভবনে আগুন লাগানোর আগের দিন ভবনের ভিডিও করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আমাদের সিকিউরিটি গার্ড। তখন তারা এ ভিডিওকে সন্দেহ করেনি। এখন বুঝা যাচ্ছে ভিডিও করাটি ছিলো হামলার আগে র‌্যাকির অংশ। নারায়ণগঞ্জে পাসপোর্ট অফিস, সিটি করপোরেশন সহ বেশকিছু সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে নাশকতা চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও আওয়ামী লীগ অফিস গতকাল পরিদর্শন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু এমপি। এসময় বাবু বলেন, এসব সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে যারা হামলা চালিয়েছে তারা দেশদ্রোহী। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না। শেখ হাসিনার কর্মী ও নেতাদেরকে চিহ্নিত করে নিশ্চিহ্ন করার দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে।