প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন জিতেন্দ্র নাথ সরকার নামে একজন ঠিকাদার। আর তদারকিতে দায়িত্ব পালন করছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) ময়নুল হক। সম্প্রতি দ্বিতল ভবনে ওঠার জন্য সিঁড়ি নির্মাণ (ঢালাই) করা হলে কয়েকদিন পর তা সম্পূর্ণরূপে নীচে ভেঙ্গে পড়া দেখতে পান স্থানীয়রা। এ নিয়ে ঠিকাদারের অনিয়মের কথা উল্লেখ করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম। তিনি দাবি করেন ভবনটির নির্মাণ সামগ্রী ও কাজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ায় সদ্য ঢালাকৃত সিঁড়ি ভেঙ্গে পড়েছে।
 এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল মান্নাফ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ময়নুল হক, ঠিকাদার জিতেন্দ্র নাথ সরকারের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে কথা হলে তাঁরা বলেন, প্রধান শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম ঠিকাদারের কাছ থেকে নানাভাবে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসার একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে। তার স্ত্রীও  বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।
 এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কয়েকদফা মোবাইলফোণে কথা বলার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইলফোণ নম্বরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। 
 উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘটনামর্মে যা পাওয়া গেছে, তা উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিতভাবে জানানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
 উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা মহসিন সরদার (টাপু) বলেন, বিষয়টি জানতে পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি, যথাযথভাবে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি।