সুন্দরগঞ্জে অসুস্থ্যতায় ভুগছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা
সোমবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা হঠাৎ অসুস্থ্যতার অজুহাতে অনুপস্থিত থাকছেন। এরমধ্যে রয়েছে স্কুল, কলেজ ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ১২টি কলেজ, ৯১টি উচ্চ বিদ্যালয়, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ভোকেশনাল, কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজের বেশকিছু প্রধান রয়েছেন। তবে, ৪টি ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসাসহ ৫০টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সমস্যা তুলনামূলকভাবে নেই বললেই চলে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অধিকাংশ প্রধানগণ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে না এসে হঠাৎ অসুস্থ্যতার অজুহাতে অনুপস্থিত কাটছেন নির্বিঘ্নেই।
এব্যাপারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থীর অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে কথা হলে তারা বলেন, ব্যাপক অনিয়ম মাফিক নিজের নিয়োগসহ প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ বাণিজ্যে পরিণত করে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া এসব প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার কৈফিয়ত এড়ানোর অপকৌল হিসেবে অসুস্থ্যতার অজুহাত দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত কাটছেন। এসব প্রতিষ্ঠান প্রধানের অধিকাংশই নিয়োগ পেয়েছেন অনিয়মের মাধ্যমে। এরপর প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ বাণিজ্যে পরিণত করে স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। কেউ কেউ প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন না করেই দাপ্তরিক দালালী করেই দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কাটেন প্রতিষ্ঠানের বাইরে। এদেরকে চিহ্নিত করে চাকরিচ্যুত করা দরকার। একই সঙ্গে তাদের অবৈধ উপায়েপ্রাপ্ত নিয়োগ বাতিল করে তাদের চাকরিকালীণ সমস্ত সুবিধা ফেরৎ ও তাদের মাধ্যমে নিয়োগকৃত অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ বাতিল পূর্বক তাদেরও চাকরিকালীণ সমস্ত সুবিধাদী ফেরৎ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বদনাম ঘুচানো দরকার। এতে শিক্ষাখাতের দুর্নীতি বহুলাংশে হ্রাস পাবে।
সুশীল সমাজের একাধিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককেও দেখেছি সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে নির্বিঘ্নেই দলীয় কাজ চালিয়ে যেতে। এদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে দাবি করেন।
daiএ নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান, এসব প্রধানদেরকে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চালিয়ে যাবার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। চলমান পরিস্থিতি মোতাবেক সমস্যাবোধ মনে করে যেসব প্রতিষ্ঠান প্রধানরা অনুপস্থিতি রয়েছেন তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।