আসলাম আলম, নিজস্ব প্রতিনিধি: বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়ায় বর্তমানে ব্যাংক খাতের দুরবস্থার চলছে। অতি খেলাপি ঋণ থাকায় ইসলামি শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়েছে বেশি।
এতে প্রতিদিনের অর্থ চাহিদা পূরণে ব্যাংকগুলো হিমশিম খাচ্ছে। অপরদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন টাকা ছাপিয়ে ধার দিবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে চাহিদা মোতাবেক গ্রাহকদের জমানো অর্থ ফেরত দিতে পারছে না অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংক।
এমন অবস্থায় চাহিদা অনুযায়ী অন্য ব্যাংক থেকে ধার নেওয়ার জন্য বিশেষ সহযোগিতা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ব্যাংকের ডিমান্ড প্রমিসরি (ডিপি) নোটের বিপরীতে অন্য ব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করে দেবে। এছাড়া ধারের এই অর্থের গ্যারান্টিও দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে আমানতকারীদের সুরক্ষা ও আস্থা ফেরাতেও সহযোগিতা দেবে।
এমন ঘোষণার পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিশেষ সুবিধায় অর্থ সহায়তার জন্য আবেদন করেছে আটটি বেসরকারি ব্যাংক। এগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে বিশেষ ধার দিতে একটি নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেখানে সংকটে থাকা ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে তিন মাস, ছয় মাস কিংবা এক বছরের জন্য তারল্য সহায়তা পাবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রথমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক আবেদন করবে। এতে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার বিভিন্ন বিষয় যুক্ত থাকবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোর তারল্য সহায়তা দেবে না। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী, এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে টাকা আমানত হিসেবে পাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই ক্ষেত্রে গ্যারান্টি দেবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাংকগুলো পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে যেতে বিশেষ কিছু সুবিধাও পাবে।
হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘যেসব ব্যাংক তারল্য সমস্যায় আছে ইতোমধ্যে তারা আবেদন করছে। এখনও তাদের বিষয় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আরও কিছু ব্যাংক আবেদন করার কথা রয়েছে। সবগুলো আবেদন এক সঙ্গে যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সবকিছু আলোচনা করে সমাধান করবো।’