বহু অপকর্মের হোতা অধরাই বিএনপি নেতা মিলন ! ৩য় পর্ব
মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক, সিএনএন বিডি ২৪.কম: আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্নেহ পরবশ কোমলতার সু্যোগ নিয়ে ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে যে কজন এমপি মন্ত্রী ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের অর্থ-বিত্ত প্রতিপত্তি অর্জন এবং এলাকার নেতাকর্মীদের জিম্মি করে রেখেছিলেন তার মধ্যে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন অন্যতম। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার অনুকম্পায় প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর পুলিশ ও নিজের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে দলীয় ভিন্নমতাবলম্বীদেরকে বিভিন্ন ভাবে মামলা ও নির্যাতন শুরু করেন ৷ তার এই স্বেচ্ছাচারিতায় ছাত্র ও যুবদলের অনেক নেতা বিদেশে চলে যায়৷ মিলনের অত্যাচারে ওবায়েদ উল্যাহ ভূলন ২০০৩ সালে তৎকালীন কচুয়া থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
সেই থেকে ওবায়েদ উল্যাহ ভূলন দলীয় কাজ করলেও দলীয় কোন পদ-পদবী গ্রহণ করেননি। বলে রাখা ভালো ৯৩ সালে বিএনপি শাসনামলে ওবায়েদ উল্যাহ ভূলন এর বড় ভাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালযয়ের ছাত্রদল নেতা শহীদ এবিএম সলিম উল্যাহ মিলনকে রহিমানগর কলেজে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে। সেই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিল এই এহসানুল হক মিলনের বড় ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হক। তখন এহসানুল হক মিলন ছিলেন ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন। যার কারনে এই হত্যাকান্ডের বিচার করা সম্ভব হয়নি। ওই ঘটনার দিন ওবায়েদ উল্যাহ ভূলনসহ তার বড় আরও দুই ভাই আহত হয়েছিল। বিএনপির এই নেতা ১/১১ সময় মান্নান ভূঁইয়া গংদের সাথে জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে ধ্বংসের পায়তায় লিপ্ত ছিল। তখন তার দম্ভুক্তি ছিল জাতীয় সরকার গঠন হবে এবং তিনি জাতীয় সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী হবেন। শেষ পর্যন্ত জাতীয় সরকার ঘঠন হলো না এহসানুল হক মিলনও মন্ত্রী হতে পারলেন না। ২০০৮ সালে বিএনপির নমিনেশন বাগিয়ে নিলেও তিনি এমপি হতে পারলেন না। এমপি না হওয়ার দুঃখে এহসানুল হক মিলন আর কচুয়ায় আসেননি কোন নেতাকর্মীরও খোঁজখবর নেননি। ২০২২ সালে এই এহসানুল হক মিলন নাটকীয় ভাবে যে মহিউদ্দিন খান আলমগীর বিএনপিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল,ড. সেলিম মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম হোসেন, কচুয়া পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপন,উপজেলা চেয়ারম্যান কুখ্যাত সন্ত্রাসী শাহজাহান শিশির ও মাহবুবুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও খুনি সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগদের সাথে যোগাযোগ সাপেক্ষে কচুয়ার বিএনপি কোন নেতাকর্মীর সাথে যোগাযোগ ছাড়াই তিনি ইফতার পার্টির নামে নাটক মঞ্চায়ন করার চেষ্টা করেন। সেখানে পথিমধ্যে আওয়ামী লীগের কিছু উশৃংখল সন্ত্রাসী পুলিশ পাহারায় তার গাড়ি ভাঙচুর করলেও কেউ হতাহত হননি। এই নাটকীয় ঘটনার পর তিনি প্রথমে বক্তব্য দিলেন আওয়ামী লীগের ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী এবং ৩০-৩৫ জন পুলিশের সামনে(এহেসানুল হক মিলন) আমার গাড়িতে হামলা করেছে। একই দিনে সন্ধ্যাবেলায় তিনি অন্য জায়গায় বক্তব্য দিয়ে বললেন আমি ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর এর সাথে যোগাযোগ করে এসেছি,আমি ড. সেলিম মাহমুদ এর সাথে যোগাযোগ করে এসেছি,আমি মেয়র স্বপনের সাথে যোগাযোগ করে এসেছি,আমি গোলাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে এসেছি আমাকে আওয়ামী লীগের কেউ বাধা দেননি। এই ঘটনা ঘটিয়েছেন ওসি সাহেব মালয়েশিয়ার ইঙ্গিতে। যার ভিডিও রেকর্ড আছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন আমরা দেখেছি ডঃ মহিউদ্দিন খান আলমগীর এর বাসায় এই এহসানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী নাজমুন্নাহার বেবির গোপন পরামেশ্বর ছবি ভাইরাল হতে। দেখেছি কোন গোপনীয় জায়গায় মহিউদ্দিন খান আলমগীরের টি বয়ের মত এহসানুল হক মিলনের হাতে চা পেয়ালা ডঃ মহিউদ্দিন খান আলমগীর কে দিচ্ছেন । একটা অডিও বক্তব্য ভাইরাল হতেও দেখেছি যে বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কোন চরিত্র আছে নাকি? এই দলের নেতা তারেক রহমানের কোন আদর্শ আছে নাকি? যদি চরিত্র আর আদর্শই থাকতো তাহলে আমাকে (মিলনকে)বাদ দিয়ে টাকার বিনিময় দালালকে কি নমিনেশন দিত? তারেক রহমানের চরিত্র হনন করতেও শুনেছি এবং ওই অডিও বক্তব্যে এহসানুল হক মিলন বলেছেন মহিউদ্দিন খানের প্রার্থী আমার প্রার্থী তোমরা সবাই মহিউদ্দিন খান আলমগীরের প্রার্থীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করো। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফসল ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পরও এই এহসানুল হক মিলন দেশে না এসে বিদেশের মাটিতে বসে বসে চাঁদাবাজি করার কথা কচুয়ার কে জানেন না? তারপর ১৮ আগস্ট তিনি দেশে ফিরলেন ২০ আগস্ট তিনি তার ঢাকার বাসার ড্রয়িং রুম এক জ্বালাময়ী বক্তব্য দিলেন যে বক্তব্যে শুধু তিনি কচুয়া বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে দুর্দিনে যে ওবায়েদ উল্যাহ ভূলন (জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কচুয়া উপজেলার সাবেক সদস্য সচিব) বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি কিন্তু আওয়ামী লীগের কার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেননি। শুধু বক্তব্য দিয়েই এহসানুল হক মিলন ক্ষান্ত হননি তিনি কচুয়া থানায় একটি মামলা করেছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সাথে যে ওবায়েদ উল্যাহ ভূলনের রক্ত,মেধা, অর্থ ও শ্রমের বিনিময় দক্ষিণ কচুয়ায় বিএনপি প্রতিষ্ঠিত,যুবদল উপজেলা যুগ্ন আহবায়ক কাউসার মিয়া,যে কাউসার আন্দোলন করতে গিয়ে ১১টি মামলায় কারাগার বরন করেছেন এবং রিমান্ডে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। উত্তর কচুয়া সাচার বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দুঃসময়ে বিএনপির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব মামুন দেওয়ান,উপজেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি বাবুল মিয়াসহ বিএনপি'র ১২ জন নেতাকর্মীকে আসামি করেছেন।এরই মধ্যে শ্রমিক দল নেতা বাবুলের ব্রিক ফিল্ড দখলের পায়তারা লিপ্ত এই এহসানুল হক মিলন। কতটা নিভির সম্পর্ক থাকলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগকে দিয়ে দরবার বসিয়ে ব্রিক ফিল্ড নেওয়ার পাঁয়তারা করতে পারেন। যে সময় আওয়ামী লীগ এলাকা ছেড়ে পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছে না ঠিক সেই সময়ে বাবুলকে আসামি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকে এলাকায় আনিয়ে তাদের মাধ্যমে দেন দরবার করে ব্রিক ফিল্ড দখলের পাঁয়তারায় লিপ্ত আছেন এহসানুল হক মিলন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। একটি কথা না বললেই নয় চাঁদপুর জেলা অনুমোদিত উপজেলায় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেহই এহসানুল হক মিলনের সাথে না থাকলেও তিনি মঞ্চে স্বঘোষিত বিভিন্ন সংগঠনের কথিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে বক্তব্য দিতে দেখতে পাওয়া যায়। প্রশ্ন হল এই কথিত পদ পদবী পরিচয় দাবিদাররা কারা? তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার পরেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হচ্ছে না? এ সকল নাটকীয় বক্তব্য দিয়ে মানুষের মাঝে একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। বিগত ২১/০৯/২৪ তারিখ শনিবার পাঁচ নাম্বার সহদেবপুর ইউনিয়নে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচিতে জননেতা মোশারফ সাহেবের গাড়িবহরে ও এই এহসানুল হক মিলনের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা করার চেষ্টা করেছে। মোশারফ সাহেবের গাড়িবহরে হামলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ১০ নম্বর ইউনিয়ন তালতলী গ্রাম বিএনপি'র অত্যন্ত নির্যাতিত নেতা বাহালুলকে একা পেয়ে নির্মমভাবে প্রহার করে গুরুতর আহত করেছে এই এহসানুল হক মিলনের সন্ত্রাসী বাহিনী। এই এহসানুল হক মিলন তার লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী বাজারদখল,পুকুর দখল,স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় গিয়ে চাদা দাবিসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন। যা বিএনপির নেতৃত্বের নির্দেশনা ও আদর্শ পরিপন্থী।এহসানুল হক মিলন নাটকীয় বক্তব্য দিয়ে মানুষের মাঝে একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। যা বিএনপির নেতৃত্বের নির্দেশনা ও আদর্শ পরিপন্থী। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ ব্যাপারে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে কচুয়ায় দীর্ঘদিনের আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক নির্যাতিত বিএনপি,সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মনে করেন।২০০৮ সালে আমাদের প্রিয় নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জামিনের দিন ক্রোধান্বিত নেতৃবৃন্দ পিজি হাসপাতালের ফটকে এহসানুল হক মিলনকে জুতা মেরে অপদস্ত করার ঘটনাও দেশ বাশি অবগত। দল তাকে ক্ষমা করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোয়ন দেন। ২৯ শে ডিসেম্বর নির্বাচনের পর সে কচুয়া থেকে পালিয়ে যায় আর কচুয়ার মাটিতে আসতে সাহস করেনি। কারন অত্যাচারীরা সব সময় ভীত থাকে ৷ নেতা কর্মীদের খোঁজ খবরও রাখেননি ৷ দলীয় কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় থাকার কারনে এহসানুল হক মিলনকে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে পদাবনতি দিয়ে নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে। ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন এহসানুল হক মিলনের আমলনামা:তিনি প্রথমেই দলীয় যোগ্য নেতাকর্মীদেরকে পদ পদবী না দিয়ে কোণঠাসা করে একবার উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব নেন। আরেকবার উনার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করেন। এই এহসানুল হক মিলন টি-আর কাবিখা থেকে টনপ্রতি ২০০০ টাকা হারে চাঁদা নিতেন। এছাড়া এলজিইডি ও ফ্যাসিলিটির সহ বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ২% হারে প্রথমে টাকা নিতেন। পরে তা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১০% উন্নীত করেছিলেন। এই কমিশনের টাকা না দিলে উনার সিনকমের নামে করা লাইসেন্স অথবা ইমরান পাটোয়ারী নামে এক নেতার লাইসেন্সের কাজ নিয়ে সিন্ডিকেট করে উনি নিজেই কাজ করতেন। ঐসময় তিনি গড়ে তোলেন নিয়োগ বাণিজ্যের রমরমা সাম্রাজ্য। প্রতিটি নিয়োগে নিতেন ২ - ৮ লক্ষ টাকা। দলীয় কোন নেতাকর্মী উনার মতের বিরুদ্ধে কথা বললে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে থানায় নির্যাতন করতেন। যে কারণে দলীয় অনেক নেতাকর্মী রাগ, অপমান, এবং ভয়ে দেশের বাহিরে চলে যেতে বাধ্য হন।
১৭ বছর পরে এহসানুল হক মিলন কচুয়ার মাটিতে আসার পূর্বে বিগত ১৭ বছর ধরে যারা রাজনীতিতে সরব ছিল, কচুয়ার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে ছিল, বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচি নিজের জীবন বাজি রেখে পালন করেছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ওবায়েদ উল্যাহ ভূলন। কিন্তুু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে ওবায়েদ উল্যাহ ভূলন এর নাম জড়িয়ে মামলা দিয়েছে এই এহসানুল হক মিলন। বহুল আলোচিত সন্ত্রাসী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান শিশির ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন সোহাগ চৌধুরীকে পর্যন্ত আসামি করা হয়নি। কারন এহসানুল হক মিলন ১৭ বছর আওয়ামী লীগের সাথে মিলে মিশে বিএনপি নেতা কমীদেরকে নির্যাতন ও মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করেছিল।এখনও বিভিন্ন স্হানে এহসানুল হক মিলন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে চাঁদাবাজি, লুটের মতো ঘটনা ঘটছে। চাঁদা দিতে রাজি না হলে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি করারও ঘটনা ঘটাচ্ছে। এহসানুল হক মিলন মামলা করেই ক্ষান্ত হননি তিনি ধারাবাহিকভাবে এই ওবায়েদ উল্যাহ ভূলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত আছেন। অথচ ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে যাওয়ার পরবর্তী সময়ে যখন সারাদেশের ন্যায় রহিমানাগর বাজারে এসানুল হক মিলনের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী যখন জ্বালাও পড়াও ভাঙচুর লুটপাট চালিয়েছিল ঠিক সেই সময়ে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে দলের সুনাম রক্ষায় লুটপাট ভাঙচুরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এলাকাবাসীর জান মান রক্ষায় কি ভূমিকা পালন করেছেন দল-মত নির্বিশেষ এলাকার সর্বস্তরের জনগণ তা জানেন। এই মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলার প্রতি ধিক্কার জানাই। সুবিধাভোগী এহসানুল হক মিলন বিএনপিকে আবার ধ্বংসের পায়তারায় লিপ্ত। তাই এই এহসানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে এখনই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সারা দেশে শুরু হয় নৈরাজ্য ও সহিংসতা। যে কোনো মূল্যে দেশে সম্প্রীতি রক্ষা, লুটপাট, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব বন্ধসহ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করছে বিএনপি।
দল কিংবা দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার কিংবা পদ স্থগিত করা হয়েছে। অনেককে করা হয়েছে শোকজও। এরমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় অপকর্ম করে এখনও অধরা রয়েছেন বিএনপির কিছু নেতা। এদের মধ্যে অন্যতম হলো এহসানুল হক মিলন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনও বিভিন্ন জেলায় চাঁদাবাজি, লুটের মতো ঘটনা ঘটছে। চাঁদা দিতে রাজি না হলে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি করারও ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ রয়েছে চাঁদপুর কচুয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এহসানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের ফিরিস্তি জানিয়ে দপ্তরে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন চাঁদপুর কচুয়ার ব্যবসায়ী,নিজ দল বিএনপির নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ। ওই নেতার রোষানলে পড়েছে বিএনপির অন্তত ২০০ নেতা কর্মী।
সবাইকে ভয় দেখিয়ে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে রেখেছেন। চাঁদাবাজি, লুটতরাজসহ মিথ্যা মামলায় হয়রানির বিষয়ে চাঁদপুর কচুয়ার ব্যবসায়ী,নিজ দল বিএনপির নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছেও দেওয়া হবে।
এই এহসানুল হক মিলনের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী চাইনিজ কুড়াল,রাম দা নিয়ে রাতে বিভিন্ন স্হানে মহড়া ও নিজ দলের লোকজনের উপর হামলার ঘটনাও ঘটাচ্ছে।
বিএনপি নেতা কর্মীরা বলেন এহসানুল হক মিলনের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিজ দলের লোকজনের উপর হামলা করবে,মামলা দিবে তা কখনো ভাবতেও পারিনি। অথচ বিস্তারিত বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে চিঠি দিয়ে জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাইনি।
জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে এখন শুধু সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতাকর্মীদের ১৫ বছরের আত্মত্যাগ এবং কমিটমেন্ট কিছু ব্যক্তির অপকর্মের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে না। তাদের দায় দল নেবে না। চলবে...