মানবতাকে টুকরো টুকরো না করে দেশ-জাতিকে এগিয়ে নিতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য দরকার : জামায়াত আমির
বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
তোফায়েল আহম্মেদ, নিজস্ব প্রতিনিধি: জামায়াতের মেইন সাবজেক্ট হচ্ছে মানবতা, গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা। তাই মানবতাকে টুকরো টুকরো না করে যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ করতে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানাই।
দেশ-জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে দলমত নির্বিশেষে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য দরকার। বিভক্ত জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না। মূলত বিভক্ত জাতির জন্য অপমান ও লাঞ্ছনা অনিবার্য।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কাফরুলের একটি মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত বৃহত্তর কাফরুল অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মানুষকে আমরা মানুষের মর্যাদা দিতে চাই। দল-ধর্মের ব্যবধান না করে মানুষকে দেশের স্বার্থে এবং জনগণের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দেশ-জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে দলমত নির্বিশেষে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য দরকার। বিভক্ত জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না। মূলত বিভক্ত জাতির জন্য অপমান ও লাঞ্ছনা অনিবার্য।
জামায়াতের আমির আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের অপমান ও লাঞ্ছনা চলেছে। যা আর চলতে দেওয়া যায় না বরং তা পাল্টানোর সময় এসে গেছে। আর এজন্য আমাদের অতীত বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। মূলত যে জড়ো সড়ো হয়ে চলে সে নিজের জন্য যেমন বোঝা; ঠিক তেমনিভাবে পরিবার ও সমাজের জন্যও বোঝা। আর যে ব্যক্তি নিজেকে মেলে ধরতে পারে সে নিজের জন্য যেমন এসেট; ঠিক তেমনিভাবে পরিবার, সমাজ ও জাতির জন্যও এসেট। তাই আমাদের প্রত্যেককেই এসেট হওয়ার শপথ গ্রহণ করতে হবে।
দেশ ও জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গণমানুষের কল্যাণই জামায়াতের রাজনীতির আদর্শ ও মূলমন্ত্র। তাই জামায়াতের নেতাকর্মীরা সবসময় মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের জন্য আমরা সব সময়ই আপসহীন রয়েছি। আমরা আমাদের নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে চলি। মানুষের মাঝে কুরআন-হাদিসের দাওয়াত দেই আমলী ভাষায়। আর এই দাওয়াত হচ্ছে মহান আল্লাহর প্রতি আহ্বান ও দ্বীনে হক্ব। আমরা চাই আমাদের দাওয়াতের মাধ্যমে মানুষ তাদের প্রকৃত ঠিকানা খুঁজে নিক। আমরা কাউকে বোকা মনে করি না বরং তারা দাওয়াত গ্রহণের মাধ্যমে নিজের গন্তব্য ঠিক করে নিতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
জামায়াত আমির বলেন, আল্লাহ তা’য়ালার মানুষের কর্মের প্রকৃত মালিক। আর মানুষের কর্তব্য হচ্ছে কর্মের মাধ্যমে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তনের চেষ্টা করা। ৫ আগস্টের বিজয়কে অর্থবহ করতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য লস্কর মুহাম্মদ তাসলিম ও মহানগর সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শহিদুল্লাহ, শাহ আলম তুহিন, মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, আব্দুল মতিন প্রমুখ।