আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও মুখপাত্র সামান্তা শারমিন নিজেদের সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
পোস্টে ‘থানা পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশনা’ শীর্ষক ওই নির্দেশনায় নয়টি বিষয় উল্লেখ করা হয়। এগুলোর মধ্যে আছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির থানা পর্যায়ের সব কমিটি ‘প্রতিনিধি কমিটি’ হিসেবে পরিচিতি পাবে; প্রতিনিধি কমিটির সবাই ‘থানা প্রতিনিধি’ নামে পরিচিতি পাবেন; প্রতিটি প্রতিনিধি কমিটি গঠনের ৬০ দিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে; জেলা পর্যায়ের থানা কমিটির সর্বনিম্ন সদস্যসংখ্যা হবে ২১ ও মহানগরের থানা কমিটি সর্বনিম্ন ৩১ সদস্যবিশিষ্ট হবে; সব কমিটিতে সর্বনিম্ন ২৫ শতাংশ নারী, ৫ শতাংশ শহীদ পরিবার বা আহত অভ্যুত্থানকারী, ৫ শতাংশ সংখ্যালঘু, ৫ শতাংশ কৃষক-শ্রমিক শ্রেণি ও এলাকাভিত্তিক সব জাতিসত্তার প্রতিনিধিত্ব রাখার পাশাপাশি প্রতিনিধি কমিটি থেকে আহ্বায়ক কমিটিতে রূপান্তরিত হতে হলে সব ক্রাইটেরিয়া (শর্ত) পূরণ করতে হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্য নির্দেশনাগুলো হলো, থানা কমিটিতে শিক্ষক, আইনজীবী, লেখক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, গৃহিণী ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে তরুণ নেতৃত্বের সমন্বয় করতে হবে; পঞ্চাশোর্ধ্ব সম্মানিত নাগরিকেরা একটি পরামর্শক কমিটির মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে কাজ করবেন; থানা পর্যায়ের কমিটিতে থাকার ক্ষেত্রে ওই থানার নিবাসী হতে হবে এবং আওয়ামী লীগের কোনো অংশীজন বা সুবিধাভোগী কমিটিতে থাকতে পারবে না এবং অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করতে হবে।
নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন জানান, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন। এরই অংশ হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংগঠিত করায় তাদের লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর দেশ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে সেপ্টেম্বরে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়।