নির্বাচন নিয়ে ধূম্রজাল থেকে বিরত থাকতে হবে : মির্জা ফখরুল
শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
সৈয়দ বদরুল আলম, নিজস্ব প্রতিনিধি: ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করছে। আজ এ সরকারের তিন মাস পূর্তি।
নানা ঘটনাবহুল এ সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিবাজ গণহত্যার বিচার শুরু করেছে। পুলিশসহ রাষ্ট্রের সংস্কার চলছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তারা নির্বাচন কমিশনের সংস্কার কাজ করছেন। সরকারের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অবশ্যই বর্তমান সরকারের অর্জন আছে। কার্যকরী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে তারা। অনেকগুলো কাজ করছে তারা। সবাই যদি এই সরকারকে সহযোগিতা করে, তাহলে উপযুক্ত ও যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দিতে পারবে। জাতির সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে, তা পূরণে সক্ষম হবে।
এটা তো উনার দৃষ্টিভঙ্গি, উনি বলেছেন। আমরা কোনো মাস সময় বেঁধে দেইনি। এটা নিয়ে এত অস্থির হচ্ছেন কেন? এত অস্থির হওয়ার কিছু নেই। দেশের ইতিহাসে এতো বড় একটা বিপ্লব ঘটে গেল, দেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দেশে একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল। সব ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। এগুলো স্বাভাবিক করতে একটু সময় তো লাগবেই।
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দিয়ে স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখব, সংগ্রাম ও আন্দোলন চালিয়ে যাব। বিএনপি সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা নির্যাতন-নিপীড়ন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছিল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের আধিপত্যবাদকে পরাজিত করা হয়েছে।
বিএনপি নির্বাচনের জন্য সবসময় প্রস্তুত। বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে। জনগণের ভোটে বিএনপি একাধিকবার ক্ষমতায় এসেছে। ভবিষ্যতেও জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায়।
জনগণকে ধৈর্য ধরতে হবে। নিশ্চয়ই সামনে এদেশে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। নির্বাচন নিয়ে কেউ যাতে ধূম্রজাল সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রসঙ্গে আলোচনা সামনে আসছে? এ বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী?