এতে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা, জনমনে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সংঘাতে না জড়াতে স্কুল-কলেজে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়গুলো জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সংশ্লেষবিহীন বিভিন্ন ইস্যুতে আয়োজিত সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ করছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তা ছাড়া, এ ধরনের কার্যক্রম শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যে নানা উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
এ প্রেক্ষাপটে, শিক্ষার্থীর শিক্ষামুখি বা শ্রেণিকক্ষমুখি রাখা এবং বিভিন্ন ধরনের কো-কারিকুলার কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করে শ্রেণি কার্যক্রম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রম জোরদার করবেন।
কার্যক্রমের নমুনা হিসেবে ৯টি কর্মসূচিও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসবের মধ্যে রয়েছে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিচ্ছন্নতা অভিযান; বিজয়ের ৩৬ জুলাই ভিত্তিক গ্রাফিতি অঙ্কন, নির্বাচিত গ্রাফিতি নিয়ে সফট অ্যালবাম তৈরি, শ্রেষ্ঠ গ্রাফিতি পুরস্কার প্রদান; ক্রান্তিকালে তারুণ্য দুর্জয় ভিত্তিক থিম সং তৈরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশন, সফট অ্যালবাম তৈরি, শ্রেষ্ঠ থিম সং পুরস্কার প্রদান; গার্লস স্কুল ও কলেজ পার্সোনাল হাইজিন বিষয়ক প্রশিক্ষণ; জাতীয় দিবসে আনুষ্ঠানিক তারুণ্য কুচকাওয়াজ (বিএনসিসি স্কাউট-রোভার সহযোগিতা); জুলাই বিপ্লব কী, কেন, কীভাবে— ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকদের আলোচনা সভা; তরুণ চোখে নৈসর্গ দর্শন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিকটস্থ নান্দনিক স্থান (নদীতীর বা চর বা উপকূল বা পাহাড় বা টিলা বা ফসলি মাঠ) দলবদ্ধ ভ্রমণ); দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারুণ্য উৎসব ২৫’কে আনন্দময় করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ভলিবল ও ফুটবল খেলার আয়োজন; তরুণদের উদ্যোক্তা কর্মী হিসেবে আগ্রহী করতে জেন-জি উদ্যোক্তা শীর্ষক বির্তক প্রতিযোগিতা আয়োজন।