ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের এখানে চিকিৎসা ও বাজার সবই আছে। পুরো বিশ্ব থেকে ভারতে ভ্রমণকারীর সংখ্যার মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান দ্বিতীয়। এ খাত থেকে অর্থনৈতিকভাবে প্রতিবেশী দেশটি বিশাল লাভবান হয়। তারা যেতে না করলে বাংলাদেশিরাও ভারতে যাবে না।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মেজরিটি-মাইনরিটি কোনো বিভাজন নেই। এখানে সব ধর্মের মানুষ বসবাস করছে। ’
কোনো ধরনের উসকানিতে কান না দিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ঐতিহাসিকভাবে এক আছি।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বেনাপোল চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এবং ইমিগ্রেশন পরিদর্শন করেন। সেখানে দুই দেশের যাত্রী যাতায়াতের খোঁজ-খবর নেন।
যাত্রী যাতায়াত কম এ বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভারত সরকার ভিসা না দেওয়ায় যাত্রী যাতায়াত কম হচ্ছে। ভিসা না দেওয়ায় আমাদের চাইতে ভারতের ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ রোগী সে দেশে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন তাদের একটু ক্ষতি হচ্ছে। সবশেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান উপদেষ্টা। এ সময় আব্দুল্লাহর মা-বাবা এবং পরিবারের খোঁজ-খবর নেন এবং তার কবর জিয়ারত করে যশোরের উদ্দেশে রওনা দেন।
আগামীকাল ভোমরা স্থলবন্দর পরিদর্শনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন সাতক্ষীরা যাবেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান, বিজিবি দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির, যশোর জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম, ৪৯ বিজিবি অধিনায়ক সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজীব হাসান, নাভারন সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নিশাদ আল নাহিয়ান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসিন, বেনাপোল বন্দরের  পরিচালক (অ.দা.) মামুন কবীর।