ঘটনার পর থেকে বাবা ফরহাদ গোমস্তা পলাতক রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানার ওসি মো. মোকতার হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, অনেক দিন ধরেই স্ত্রী নাজমা বেগমের সঙ্গে ফরহাদ গোমস্তার কলহ চলছিল। রোববার সকালে মেয়ে আইরিন ঘুম থেকে দেরিতে উঠে। এ নিয়ে বাবা আর মেয়ের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাবা কাঠ দিয়ে মেয়েকে পেটাতে থাকেন। মারধরের সময় মেয়ের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান মুক্তি।
মুক্তির মা নাজমা বেগম বলেন, ‘আমি রান্নাঘরে ছিলাম। ঘরের মধ্যে চেঁচামেচির শব্দ পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি মেয়ে আইরিন মাটিতে পড়ে আছে। ততক্ষণে ওর বাবা পালিয়েছে। আশপাশের লোকজনও তখন ছুটে আসে। হাসপাতালে আনতে আনতেই মারা যায় আমার মেয়ে।’
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফারজানা আক্তার বলেন, সকালে মেয়েটির মা তার মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। শরীরে আঘাতের পাশাপাশি মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায় সে।
এ বিষয়ে শিবচর থানার ওসি মো. মোকতার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি পারিবারিক কলহের জেরে সকালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের বাবা পলাতক। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুরের ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত বাবা ফরহাদ গোমস্তা ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।