সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন ভারত এখনও মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা এখন নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। ভারত বলছে, দেশে নাকি হিন্দুদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে, যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তাই যদি হতো, তাহলে দেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতো না।
তিনি বলেন, দেশে হিন্দুরা অনেক ভালো আছে। গত কয়েকদিন আগে বিবিসির চালানো জরিপেই তা উঠে এসেছে। আসলে দেশের হিন্দুদের জন্য ভারতের কোনো দরদ নাই। ভারতের দরদ শেখ হাসিনার জন্য, আওয়ামী লীগের জন্য। সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য বৈঠক হয়।
ভারতের উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশের এই পরিবর্তন মেনে নিন। আমরা ভালো থাকতে চাই। বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক চর্চার যে নতুন পথ শুরু হয়েছে, তাকে আপনারা সমর্থন করুন। শেখ হাসিনাকে আর প্রশ্রয় দেবেন না, এ দেশের মাটিতেই তার বিচার হবে।
তিনি বলেন, দেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর চলবে না। আমরা স্বাধীনতা এনেছি মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্য, তাকে বিপন্ন করতে দেব না। স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজনে আবার হাতিয়ার তুলে নেব।