গত বছরের মে মাসে মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীকে মালয়েশিয়া প্রবেশের সুযোগ দেওয়ারও অনুরোধ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার সুহাদা বলেন, 'মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে এ বিষয়ে একটি বৈঠক করেছে এবং মঙ্গলবারও (১৪ জানুয়ারি) একই ধরনের একটি বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
গত অক্টোবরে ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সফরের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন যে, মালয়েশিয়া প্রক্রিয়াটি দ্রুত শেষ করবে যেন পরবর্তীতে আরও কর্মী মালয়েশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারে।
এ বছরের ১ জানুয়ারি আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় ড. ইউনূস মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানান এবং আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার এবং এর ফলে পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশের বিষয়ে মালয়েশিয়ার সমর্থন কামনা করেন।
হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ান বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর এবং বাংলাদেশের যুবশক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য মালয়েশিয়ান কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরে কাজ করার আহ্বান জানান ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারকে জানান, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজোলিউশন ৭৯/১৮২ অনুযায়ী ২০২৫ সালে জাতিসংঘ আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আসিয়ানের সমর্থন চায় বাংলাদেশ।