সে গেটে দিয়ে মানুষ বের হতে পারলেও গাড়ি বের হতে পারছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে প্রশাসনের কেন্দ্রস্থল খ্যাত সচিবালয়ে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
তবে নিরাপত্তার জন্য সচিবালয়ের গেটগুলো বন্ধ থাকলেও ভেতরে এবং বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সচিবালয়ের সামনের সড়কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত সতর্কতায় সচিবালয়ের গেট বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের হওয়ার জন্য শুধু প্রেস ক্লাবের দিকের ৫ নম্বর গেট খোলা রাখা হয়েছে, যা দিয়ে পায়ে হেঁটে বের হতে পারছেন সবাই।
একটি মাত্র গেট হওয়ায় একসঙ্গে শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী বের হতে গেলে ভিড় জমে যায়। তবে গাড়ি বের হওয়ার ১ ও ২ নম্বর গেট বন্ধ থাকায় কোনো গাড়ি সচিবালয় থেকে বের হতে পারেনি।
এদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প সময়মতো শেষ করতে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবিসহ ৩ দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে সচিবালয়ের সামনের সড়ক অবস্থান নেয়।
আন্দোলনরতরা বলেন, আমরা আমাদের দাবিগুলো সচিবালয়ে দায়িত্বরতদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। প্রশাসনের কাছ থেকে সুস্পষ্ট বার্তা আমরা পেতে চাই।
এর আগে, সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ও অনশন পালন করেন শিক্ষার্থীরা। অনশন থেকে অসুস্থতার কারণে প্রায় ১৬ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে উপাচার্য আশ্বাস দিলেও ধর্মঘট ভাঙতে রাজি হননি তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এ কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। আগামী মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থা বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমরা আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।’