নেতাকর্মীদের বক্তৃতা ও স্লোগান দেওয়ার প্রশিক্ষণ দিতে হবে:মির্জা ফখরুল
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫
সৈয়দ বদরুল আলম, নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রত্যেক জেলায় নেতাকর্মীদের রাজনীতির প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। বিশেষ করে স্লোগান, বক্তৃতা, সভা সঞ্চালনা ইত্যাদি বিষয়ে নেতাকর্মীদের ধারণা দেওয়া খুবই প্রয়োজন।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের অনেক বেশি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। আমরা ও আমাদের নেতাকর্মীরা কেন জানি রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। গতকাল আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী ছিল। সেখানে কর্মীরা আসছিল, তারা একটা পতাকা নিয়ে মিছিল নিয়ে আসছে, এটা কোনো রাজনীতি না। প্রত্যেক জেলায় রাজনীতির প্রশিক্ষণ শুরু করতে হবে। কীভাবে বক্তব্য দিতে হবে, কীভাবে স্লোগান দেবে হবে, কীভাবে সভা সঞ্চালনা করবে—এইগুলো জানতে হবে। সভা করার সময় প্রত্যকের নাম বলতে হবে, এটা কোনো অর্থ হতে পারে না। এটা সময় ক্ষেপণ ছাড়া আর কিছু না।
তিনি বলেন, সত্যিকারের অর্থে একটা রাজনৈতিক দল করা প্রয়োজন। এখন যে প্রতিযোগিতা আসছে সেখানে স্লোগান দেওয়ার প্রতিযোগিতা নয়; মেধা ও বুদ্ধির প্রতিযোগিতা দিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া ও টকশোতে কে কত ভালো কথা বলতে পারেন, যুক্তি খণ্ডন করতে পারেন সে প্রতিযোগিতা দিতে হবে। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। শুধু স্লোগান দিয়ে সামনে যুদ্ধে জয় হওয়া সম্ভব না।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ইতিপূর্বে আমরা সদস্যপদ ও নবায়ন কর্মসূচি করেছি। এই বিষয়টা চলমান প্রক্রিয়া। কিছুদিন পর সদস্য পদ নবায়ন করা উচিত বলে আমরা মনে করি। এইজন্য এবার আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে নির্দেশ দিয়েছেন, সে অনুযায়ী সদস্যপদ নবায়ন করছি। এই কাজটা মূলত দপ্তরের কাজ। এই বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা হলো—বইগুলো প্রত্যকটা জেলা উপজেলা-থানা-ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে যাবে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করবে আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদকেরা। এই কাজটা করা হলে এক মাসের মধ্য আমরা তৃণমূলে পৌঁছে যাব।
তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমার একটি মতামত আছে যেটা শুনতে ভালো লাগবে না। আগে যেটা হয়েছে, আমাদের যারা আগ্রহী এমপি পদপ্রার্থী ছিলেন, তারা সবগুলো কিনে নিয়ে গেছেন। এটা যেন না হয়। সেটা যেন সাংগঠনিকভাবে যায়। নতুন সদস্য নেওয়ার ক্ষেত্রে মেধা ও নীতি-নৈতিকতার ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।