উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘ব্যাপক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আবির্ভূত তরুণ প্রজন্ম তাদের চিন্তাভাবনা, ধারণা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কমপক্ষে আগামী দুই দশক ধরে রাষ্ট্র, রাজনীতি ও সমাজকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। ’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ আরও বলেন, ‘তারা (তরুণ) দায়িত্ব গ্রহণ করতে ও ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে প্রস্তুত। ’ তাদের ওপর অর্পিত জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আগামী দিনে আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী এ সমন্বয়ক বলেন, অভিজ্ঞতার অভাব ও অন্যান্য সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তরুণরা সম্ভাব্য সকল উপায়ে দেশের জন্য অবদান রাখতে চায়। দীর্ঘস্থায়ী স্বৈরশাসনের পতনের পর বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম কীভাবে দেশ পুনর্গঠনে অবদান রাখছে, তা এখন সমগ্র বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ উৎখাতের জন্য ২০২৪ সালে তরুণদের ত্যাগ ও প্রতিরোধ কেবল বাংলাদেশের জন্য নয় বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ স্থাপন করেছে। সরকার তরুণদের সাথে কাজ করতে এবং তাদেরকে রাজনৈতিক প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।’
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘আমরা নিজেরাই সেই তরুণ সমাজের প্রতিনিধি। আমরা তরুণ প্রজন্মকে এমন একটি রাজনৈতিক প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যারা ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এ উপদেষ্টা বলেন, ঐতিহাসিকভাবে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে ছাত্ররা অব্যাহতভাবে নেতৃত্বদানে ভূমিকা পালন করে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং ‘২০২৪ বিপ্লব’ দীর্ঘদিনের এই উত্তরাধিকারের সর্বশেষ উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
চাকরি ও কর্মসংস্থান সম্পর্কিত দাবির মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের শুরু হয়েছিল উল্লেখ করে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, তরুণদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এবং তাই সরকার গণঅভ্যুত্থানের আহ্বানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে মানুষ আশা করছে বাংলাদেশি তরুণরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠন ও মানবিক মর্যাদা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’