শাহনাজ খুশি তার দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, বেশী না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন?! চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশী পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি, এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!
তিনি বলেন, কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/ বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন, অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেংগেচুরে বেঁচে গেছি, কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারী চালিত অসভ্য/ বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন।
যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমন শেষে, অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াকা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই! জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি, রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না!
তিনি আরও বলেন, কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বার বার একটা প্রশ্ন মনে আসছে,” এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম/ ট্রেনে, বাসে, রিক্সা, প্রাইভেট গাড়ীতে দিনেরাতে ছিনতাই/ অস্ত্রসহ যে কোন প্রতিষ্ঠানে ঢুকে চাঁদাবাজী/ দখলবাজী/ ফিটনেসবিহীন গাড়ীর দৌরাত্ব্যে অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা/ সন্ধ্যাপরে রাস্তাঘাট- সিগন্যালে পুলিশ বা ট্রাফিক না থাকা/ যে কোন রাস্তায় অবরোধ- মারামারি, তাহলে আমাদের সুরক্ষাটা কে দেবে? কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা বাা সুশৃংখল শিক্ষাঙ্গন আপনারাও কি ভাবছেন?
এ সময় সবার সংকটহীন, মঙ্গলময় জীবনের কামনা করেন তিনি।
।