স্পোর্টস ডেস্ক, সিএনএন বিডি ২৪.কম : রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দেশের জার্সিতে আর খেলার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। এবার জানা গেল শেষ চার মাসের বেতন পাননি বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
ঠিক কি কারণে তাকে বেতন দেওয়া হয়নি, সেটাই জানালেন বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চার মাসের বেতন বাবদ সাকিবের প্রায় ৪৮ লাখ টাকা (৩৮ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার) পাওনা রয়েছে, যা কর বাদে নির্ধারিত হয়েছে। বিসিবি গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা ঘোষণা করে, যেখানে সাকিবকে তিন ফরম্যাটের জন্য চুক্তিবদ্ধ করা হয় লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও শরিফুল ইসলামের সঙ্গে।
গত ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিএফআইইউ সাকিব ও তার স্ত্রীর সব ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দেয়। এর আগে ২ অক্টোবর পাঠানো এক চিঠিতে বিএফআইইউ জানায়, পরবর্তী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাকিব ও শিশিরের নাম এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ফিক্সড ডিপোজিট ও ডিপোজিট প্লাস স্কিম একাউন্টের তথ্য দিতে হবে। এরপর হয় তদন্ত, সেই তদন্ত শেষে সরকারের নির্দেশে তার সব ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হয়। অর্থাৎ, সাকিব আর এসব একাউন্ট ব্যবহার করতে পারছেন না।
এই বিষয়ে ফাহিম বলেন, 'চুক্তি অনুযায়ী তিনি তার বেতন অবশ্যই পাবেন। আপনি খেলুন বা না খেলুন, চুক্তি তো আছেই। বিসিবি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।'
উল্লেখ্য, সোমবার বিসিবির ১৮তম বোর্ড সভায় নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটারদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের পারিশ্রমিক ও ম্যাচ ফি দুটোই বেড়েছে। টেস্টে ক্রিকেটারদের মনোযোগ বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।