ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। এ ছাড়া ঈদের সময় সারা বছর দায়িত্ব পালন করা পুলিশের অনেকে ছুটিতে যেতে চান। সরকারি নির্দেশ মতে, একটি পারসেনটেজকে আমাদের ছুটিতে পাঠাতে হয়। তারপরও আমি তাদের বুঝিয়ে বলব, যেহেতু ঢাকাবাসী গ্রামে চলে যাবে। আপনারা পরে ছুটিতে যান। আপনাদের (গণমাধ্যম) মাধ্যমে আমি ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করতে চাই, ঈদে গ্রামে যাওয়ার সময় তাঁরা (নগরবাসী) যেন তাঁদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাটা ঠিক রাখেন। আরেকটা বিষয়, যেহেতু অনেক রাত পর্যন্ত শপিং সেন্টারগুলো খোলা থাকবে, সেহেতু আমি আমার মেট্রোপলিন পুলিশের আইন বলে, অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স নিয়োগের ক্ষমতা আমার ওপর আছে। সেই অনুযায়ী, আমি অক্সিলারি  (সহায়ক) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ দিচ্ছি।’
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্সের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে, সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা। আইন মোতাবেক, আমি বা পুলিশ সদস্যরা যে দায়িত্ব পালন করেন, সেই একইরূপ দায়িত্ব তারাও পালন করবেন। যেকোনো ব্যক্তিকে উনারা গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবেন। একইসঙ্গে পুলিশ বাহিনীকে আইনগতভাবে যে প্রকেটশন দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সেটা পাবেন। সেই কার্যক্রমটিও আমি শুরু করেছি।’
কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আজ ৭ রমজান চলছে। সন্ধ্যা হলে ঢাকার মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা তারাবির নামাজে সময় যায়। ওই সময় ঢাকা শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবির নামাজে থাকেন। এ সময় আপনাদের বাড়ির ফ্ল্যাট ও দোকান সযত্নে রেখে আসতে হবে। নিরাপত্তার ব্যাপারে খেয়াল করবেন। আশা করছি, ১৫ রমজান থেকে ঢাকাবাসীর অনেকেই ঈদ উপলক্ষে গ্রামে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাবেন।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই এবং অনুরোধ করতে চাই, যখন আপনারা বাড়ি যাবেন, তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করবেন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।’