নিজস্ব প্রতিনিধি, পঞ্চগড় : রাতের আঁধারে বিএসএফের গুলিতে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার রাত ৯টার পর জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি সীমান্তের জিরো পয়েন্ট দিয়ে তার মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়।
বুধবার (১২ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া থানার ওসি এনায়েত কবির।
বিএসএফ ও বিজিবির উপস্থিতিতে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার কোতয়ালি থানার পুলিশ, বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন পুলিশ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে তার মরদেহ তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন। রাতেই পুলিশ তার মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত আনার জন্য কূটনৈতিক যোগাযোগ ও একাধিক পতাকা বৈঠক করা হয়। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ।
সরেজমিন আল আমিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আল আমিনের মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই পরিবারের সদস্য আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। মরদেহ আসার খবর পেয়ে শত শত উৎসুক জনতা তার বাড়িতে ভিড় জমান। বুধবার সকালে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
আল আমিনের বড় ভাই মোস্তফা কামাল বলেন, বিএসএফ রাতে আমার ভাইয়ের মরদেহ ফেরত দিয়েছে। সকালে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া থানার ওসি এনায়েত কবির বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে মরদেহ তেঁতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাৎক্ষণিকভাবে আল আমিনের বড় ভাই মোস্তফা কামালের কাছে তার মরদেহটি হস্তান্তর করি।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ নীলফামারী ৫৬ বিজিবির ভিতরগড় বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিপরীতে ভারতের ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ভাটপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারের সময় বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নিহত হন। তার বাড়ি জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাতপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।