আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) উত্তর-পশ্চিমের শহর মারমানস্কে এক বক্তব্যে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘পুরো যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের বাহিনী কৌশলগত অগ্রগতি অর্জন করেছে। আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আমরা তাদের (ইউক্রেনে বাহিনী) শেষ করে দিতে পারব। ইউক্রেনের জনগণের নিজেদেরই বোঝা উচিত কী ঘটছে। ’
এ সময় ইউক্রেনের জন্য একটি ‘অন্তর্বর্তী প্রশাসন’ গঠনের ধারণা উত্থাপন করেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় দেশগুলো এবং রাশিয়ার অংশীদারদের সঙ্গে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ইউক্রেনে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। ’
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘কেন এটি (অন্তর্বর্তী প্রশাসন) প্রয়োজন? গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের জন্য। এটির মাধ্যমে এমন একটি সক্ষম সরকার ক্ষমতায় আসবে, যার ওপর জনগণের আস্থা থাকবে। এরপর নতুন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু এবং বৈধ নথিতে স্বাক্ষর করা যায়।’
১৯৯৯ সালে পূর্ব তিমুরে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের উদাহরণ টেনে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, জাতিসংঘের কাঠামোতে ‘অন্তর্বর্তী প্রশাসন’ গঠনের ধারণা ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকবার ব্যবহার করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় মিত্ররা প্যারিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানান, যুদ্ধ শেষ হলে ফ্রান্স ও ব্রিটেন ইউক্রেনে একটি ‘নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বাহিনী’ গঠনের পরিকল্পনা করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই বাহিনীর সদস্যরা শান্তিরক্ষী হবে না, যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করা হবে না, এমনকি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বিকল্প হবে না।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বর্তমানে সরাসরি আলোচনা চলমান রয়েছে। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসানে শান্তি চুক্তি স্থাপনের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।