মুমূর্ষু অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  
নিহত সুমনের বড় ভাই মো. আলমগীর হোসেন জানান, তারা মেরাদিয়া মসজিদে গলির মুক্তারের বাড়িতে থাকেন। একই গলিতে তার মামা মোস্তফা পরিবার নিয়ে থাকেন। আজ সকালে মামার বাড়ির সামনে সুমনের সাথে হাতাহাতি হয় মামা মোস্তফার। একপর্যায়ে মামা মোস্তফা তার দুই ছেলে, মেয়ে এবং স্ত্রী মিলে সুমনকে ধরে ঘরের ভেতর নিয়ে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গলির মসজিদের পাশে ফেলে রেখে যায়। পরে খবর পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় সুমনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 
আলমগীর হোসেন আরও জানান, এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক সুমন। কারওয়ান বাজারে কাঁচামাল কুড়িয়ে সেগুলো বিক্রি করতেন তিনি। দুই বছর আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। এরপর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন সুমন। তার চলাফেরায় অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। আজ সকালে সুমন তার আপন মামা মোস্তফার ঘরের জানলা ভেঙেছে এই অভিযোগ করে সুমনকে খুন করেছেন তিনি ও তার পরিবার। এর আগেও সুমনকে তিনি মারধর করেছিলেন। 
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক মো. মাসুদ আলম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি খিলগাঁও থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।