এই দিনটি আনন্দ, সম্প্রীতি আর ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার দিন। বাংলা সনকে বরণ করে নিতে মুখরিত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ। নানা বর্ণাঢ্য আয়োজন উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ।
ভোরের প্রথম সূর্যকিরণের সঙ্গে সঙ্গেই রমনার বটমূলে শুরু হয়েছে বর্ষবরণের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মাধ্যমে। এই সুরধ্বনির মধ্য দিয়েই বাঙালি স্বাগত জানাচ্ছে নতুন বছরকে।
সকাল ৯ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। যেখানে নানা বয়সের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয়।
বর্ষবরণের উৎসবে আসা শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি ছিল চোখের পড়ার মতো। রঙিন পোশাকে আর রঙের আলপনাতে সেজেছে তারা।
মালিবাগ সাউথ পয়েন্ট স্কুলের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সারা প্রথমবারের মতো এসেছে আনন্দ শোভাযাত্রায়। তার কাছে নববর্ষ মানে সবই নতুন। সারা বলে, আমি যখন একদম ছোটো ছিলাম তখন আম্মুর কোলে করে এসেছি। এইবার আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। নতুন বছরে সব নতুন নতুন লাগে। নতুন রং, নতুন জামা।
রাইয়ান শাহরিয়ার নামের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী বলে, আমরা বইতে পড়েছি বাংলা নববর্ষ আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। আমাদের নিজস্ব বছরের প্রথম দিন। তাই আমি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আজকের র্যালিতে এসেছি।
রাইয়াজ ও রাফাজ দুই ভাই বাবা-মায়ের সঙ্গে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা দেখতে এসেছে। এই আনন্দ শোভাযাত্রা সম্পর্কে তাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও তাদের কাছে এই শোভাযাত্রা অত্যন্ত আনন্দের। রাফাজ জানায়, আমরা দুই ভাই ২টা বাঁশি কিনেছি। বাবা পাখাও কিনে দিয়েছে। খুব ভালো লাগছে আমার।
রাফজ খুশি থাকলেও খুশি নয় রাইয়াজ। কারণ হিসেবে শিশু শ্রেণির এই শিক্ষার্থী বলে, আমি ঘোড়ার গাড়িতে উঠতে পারছি না, বড় বাঘটা আমাকে দেখতে দিচ্ছে না।