এ সময় রাজউক চেয়ারম্যান পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় রাস্তার দুই পাশের বাড়ির মালিকসহ বাসিন্দাদের সঙ্গে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং রাস্তা প্রশস্তকরণের সুবিধাসমূহ তাদের কাছে তুলে ধরেন।
পরিদর্শনকালে রাজউক চেয়ারম্যান রাজউকের জোন ৫-এর সাবজোন ৫/২-এর আওতাধীন পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় নিত্যদিনের যানজট ও চলাচলের অসুবিধা নিরসনকল্পে ড্যাপের প্রস্তাবনা অনুযায়ী বিদ্যমান রাস্তাসমূহ ৩০ ফুট প্রশস্তকরণের জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশে ঘুরে দেখেন। চেয়ারম্যান রাজউকের চলমান কার্যক্রমগুলো অবহিতকরণসহ রাস্তা প্রশস্তকরণের ফলে এলাকার বাসিন্দারা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন তা সম্পর্কে তাঁদের সম্যক ধারণা দেন।
রাজউক চেয়ারম্যান এই এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন এবং তাদের কাছ থেকে সুচিন্তিত মতামত গ্রহণ করেন। তিনি বিদ্যমান অসুবিধাগুলো অতিদ্রুত নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, পূর্ব রাজাবাজার এলাকার যানজট নিরসনকল্পে ড্যাপের প্রস্তাবনা অনুযায়ী এবং এলাকাবাসীর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধক স্থাপনাগুলো লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে। ভবন মালিকদের দায়িত্ব সেগুলো নিজ দায়িত্ব অপসারণ করা। যে কোনো নিয়ম এর ব্যত্যয় ঘটলে রাজউক সেক্ষেত্রে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
রাজউক চেয়ারম্যান আরও বলেন, রাজধানীবাসীকে একটি বসবাসযোগ্য নগরী গড়ে দিতে যেকোনো সমস্যা সমাধানে রাজউক বর্তমানে সর্বোচ্চ দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। জনসাধারণের সহযোগিতায় রাজউক একটি বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সদা সচেষ্ট। নববর্ষের দিন ছাড়াও অন্য ছুটির দিনগুলোতে যেন মানুষকে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় তার জন্য রাজউক কাজ করছে।
এসময় রাজউক চেয়ারম্যান জনসাধারণকে নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে নিয়ম মেনে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করার অনুরোধ জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মো. হারুন-অর-রশীদ, পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১) মো. মনিরুল হক, পরিচালক (জোন-৫) মো. হামিদুল ইসলাম, অথরাইজড অফিসার (জোন ৫/২) মো. ইলিয়াসসহ রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।