সম্প্রতি দুদকের চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছবি ব্যবহার করে একটি প্রতারণা চক্র সাধারণ মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন আক্তার হোসেন।
মহাপরিচালক বলেন, কারও কাছে যদি দুদক পরিচয়ে কল আসে, নিশ্চিতভাবে আপনি ধরে নেবেন এটা প্রতারক চক্রের কাজ। কারণ দুদকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছে যদি কোনো অভিযোগ আসে, ওই অভিযোগের অনুসন্ধানের বিষয়ে কখনোই আপনাকে কল দেবে না। অবশ্যই আপনাকে রেকর্ডপত্র সংগ্রহের জন্য বা বক্তব্য প্রদানের জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ করবে। ফোন করে কখনোই আপনাকে দুদকে আসার জন্য বলবে না। দুদক কখনও বলবে না, আপনি আসেন, আপনার সমস্যা নিষ্পত্তি করে দেব। এই ধরনের কোনো কিছুই কখনও বলবে না।
আক্তার হোসেন বলেন, দুদক চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালকদের ছবি ব্যবহার করে, বিশেষ করে আমার সংবাদ সম্মেলনের ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে দুদক পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে। হোয়াটঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট কিংবা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সাধারণ নাগরিক বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানাভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে।
দুদক মহাপরিচালক আরও বলেন, এই সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা এসব বিষয়ে আগেও গণমাধ্যমে জানিয়েছি। এমন বিষয়গুলো আপনাদের নজরে এলে আমাদের যেন দ্রুত জানানো হয় অথবা নিকটস্থ থানায় যেন ওনারা যোগাযোগ করেন।
আক্তার হোসেন বলেন, দুদক সংক্রান্ত কোনো বিষয় হলে দুদকের জেলা কার্যালয়, সমন্বিত কার্যালয় বা প্রধান কার্যালয় বা আমাদের হটলাইন নম্বর ১০৬-তে আপনাদের যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি। যাতে করে কেউ প্রতারিত না হন। অনেকে প্রতারক চক্রের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন। অনেকে চাঁদা দিচ্ছেন। এগুলো থেকে আপনাদেরে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি। ইতোমধ্যে আমরা তাদের লোকেশন ট্রাক করা শুরু করেছি।