বরং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত ১৫ মে আইন ও বিচার বিভাগে চিঠি দিয়ে ইশরাকের দায়িত্ব গ্রহণে কোনো আইনি জটিলতা আছে কিনা, সে বিষয়ে মতামত চেয়েছে। এ অবস্থায় ইশরাককে মেয়র পদে বসাতে বিক্ষোভ করছেন তার সমর্থক ও অনুসারীরা। এবার ইশরাকের পক্ষে দাঁড়ালেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।  
আজ শনিবার (১৭ মে) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা মোহাম্মদ এজাজকে ঢাকা উত্তরের প্রশাসক করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি! দক্ষিণেও আরেকজন নিজেদের লোক বসানোর সবকিছু রেডি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সমস্যা হয়ে যায় আদালতের রায়।
‘২০২০ সালের সিটি নির্বাচনের কারচুপি নিয়ে তরুণ নেতা ইশরাক হোসেন তখনই আদালতে মামলা করে রেখেছিলেন। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আদালত তার পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কোনোভাবেই বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে বসতে দেবে না। কারণ এতে ঢাকার ক্ষমতা এনসিপির হাত থেকে বের হয়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে। আরে ভাই, মোহাম্মদ এজাজ যদি প্রশাসক হতে পারে, আদালতের রায় অনুযায়ী তো তার আগে উদীয়মান নেতা ইশরাক হোসেনের চেয়ারে বসার কথা।’
রাশেদ খান বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ইশরাক হোসেনের অবদান কি কারও অজানা? তোমরা মোহাম্মদ এজাজকে মানতে পারলে ইশরাক হোসেনকে আদালতের রায় অনুযায়ী মেনে নিতে সমস্যা কি? বলে রাখা ভালো, ২০২০ সালের পরপরই মামলা করে রাখার কারণে ইশরাক হোসেনের চেয়ারে বসার লিগ্যাল গ্রাউন্ড আছে। গণঅভ্যুত্থানের পরে মামলা করলে সেটার লিগ্যাসি থাকত না। অতীতের মামলা হওয়ার কারণে মামলার মেরিট রয়েছে।’
তিনি আরও লিখেন, ইশরাক হোসেন একজন অমায়িক, জনবান্ধব নেতা। সে মেয়র পদে বসলে ঢাকাবাসী যোগ্যনেতা পাবে। আর এটা তার হক। সে কোনো অন্যায় আবদার করছে না। অতীতে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মেয়র হিসেবে গুন্ডা তাপসকে নয়, ইশরাক হোসেনকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল জনগণ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। তবে গত ২৭ মার্চ ট্রাইব্যুনালের রায়ে তাপসের বিজয় বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়।