তিনি বলেন, র‌্যাবের তৎপরতা অব্যাহত আছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কোনো অপতৎপরতার তথ্য থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে র‌্যাব। সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম র‌্যাবের নজরদারিতে রয়েছে।
উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, ঢাকামুখী পশু পরিবহনে চাঁদাবাজি রুখতে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি ও নিয়মিত টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সড়কপথে নিরাপত্তা বিধানে র‌্যাবের টহল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ বছর অনলাইনে কোরবানির প্রচুর পশু ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনিয়ম ও প্রতারণা প্রতিরোধে র‌্যাব সাইবার মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক ভার্চুয়াল জগতে নজরদারি করছে। 
তিনি বলেন, অনলাইনে পশু কেনাবেচার লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতার জন্য র‌্যাব ফোর্সেস সকল পরামর্শ দিচ্ছে। এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ থাকলে র‌্যাব কন্ট্রোলরুমে অভিযোগ করা জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। 
তিনি আরও বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে ধস নামাতে মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের কারসাজির বিরুদ্ধে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি  রয়েছে। তাদের এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, কোরবানির পশুর হাটে আগত মহিলাদের উত্ত্যক্ত করা বা হয়রানি রোধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ কোনো ধরনের হেনস্থার শিকার হলে অবশ্যই র‌্যাব কন্ট্রোল রুম ও র‌্যাব টহল দলকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। র‌্যাব ফোর্সেস জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়াও পশুর হাট ও আশপাশের এলাকায় র‌্যাবের নিয়মিত টহলের পাশাপাশি যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং সাদা পোশাকে বিভিন্ন জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। 
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জানান, ঈদ-উল-আজহা নির্বিঘ্নে উদযাপন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে র‌্যাব। যে কোন জরুরি প্রয়োজনে পশু ব্যবসায়ীসহ দেশের সকল জনগণকে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কোরবানির হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে প্রচুর আর্থিক লেনদেন হয়। এক্ষেত্রে অসাধু চক্রের মাধ্যমে জাল টাকার ছড়াছড়ির আশঙ্কা  থাকে। জাল টাকা তৈরি ও সরবরাহের সাথে জড়িত চক্রের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। জাল টাকা শনাক্তে হাটে স্থাপিত র‌্যাবের কন্ট্রোলরুমে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। সবাইকে র‌্যাবের এই সেবা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়াও এ সময়ে কোরবানির হাট কেন্দ্রিক ও মার্কেটে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, প্রতারক চক্র, দালাল, মলম পার্টি এবং অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রুখতে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। 
র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, অসুস্থ পশু, কৃত্রিম উপায়ে রাসায়নিক দ্রব্য অথবা ইনজেকশন ব্যবহার করে দ্রুত সময়ে মোটাতাজা করা ও অস্বাস্থ্যকর পশু শনাক্তকরণে র‌্যাবের নজরদারি চলমান থাকবে। পাশাপাশি পশু চিকিৎসকের সহায়তায় এ সকল পশু শনাক্ত করে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। 
তিনি আরও বলেন, পশুর হাটগুলোর হাসিল ঘরে সিটি কর্পোরেশন/স্থানীয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হাসিল তালিকা আকারে প্রদর্শিত থাকতে হবে। নির্ধারিত হারের বেশি হাসিল নেয়া প্রতিরোধে র‌্যাবের নজরদারি থাকবে। এছাড়াও এক হাটের গরু জোর করে অন্য হাটে নামানোসহ পশুর হাট কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি ঠেকাতে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।