নিজস্ব প্রতিনিধি ,আখাউড়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক সিএনজি চালককে খুন করে তার মরদেহ গুম ও অটোরিকশাসহ মোবাইল ফোন ডাকাতির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও লুট হওয়া সিএনজিও উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) সকালের দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টানমনিপুর এলাকায় শেখ হাসিনা রোডের গাদারাঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে কুড়িল বিলের পাড় থেকে ২০ জুন সকালে এক অজ্ঞাতনামা যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়, নিহত ব্যক্তি মজিবুর রহমান (৩৫)। তার স্থায়ী বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপনীয়া ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে এবং তিনি আশুগঞ্জ পৌরসভার চর চারতলায় ভাড়া থাকতেন।
তদন্তে জানা যায়, ১৯ জুন রাত ৯টা থেকে ২০ জুন রাত ১২টার মধ্যে কোনো একসময় ৫ থেকে ৭ জন দুর্বৃত্ত তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে এবং তার চালিত সিএনজি অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন লুট করে মরদেহ গুমের চেষ্টা করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলার দগরীসার গ্রামের ৩ যুবককে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন, তৌহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩১), ছামির খান (২৫) ও সিয়াম ভূঁইয়া (১৯)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার তিনজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং আরও কয়েকজন সহযোগীর নাম প্রকাশ করেছেন।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কুড্ডা এলাকা থেকে নিহত মজিবুরের লুট হওয়া সিএনজি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা একটি সুইচ গিয়ার চাকু, আরও তিনটি চাকু ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বিজয়নগর থানায় একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলা (নম্বর-৩৩, তারিখ: ২১/০৬/২০২৫ খ্রি.) দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা পলাতকদের ধরতে তৎপর আছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।