লিটন মোল্লা, নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২৪ সালে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে উৎখাতের লক্ষ্য নিয়ে রাজপথে নেমেছিলাম। স্বৈরাচার উৎখাত হয়েছে, কিন্তু নতুন দেশ এখনও গঠন হয়নি।
সেই নতুন দেশ গঠনের জন্য এবার আমরা রাজপথে নেমেছি।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল ৩টায় গাইবান্ধা পৌর পার্কের কড়াই তলায় অনুষ্ঠিত পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এ কথা বলে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা গাইবান্ধা থেকে ৬৪ জেলায় যাব। আমরা সরকারের কাছ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করব। এই ঘোষণাপত্রে আপনার-আমার অধিকারের কথা থাকবে। আপনার-আমার দায়িত্বের কথা লেখা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি সব জাতি ও পেশার মানুষের কথা বলে। আজকের এই সমাবেশ থেকে সেই ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এই আহ্বায়ক বলেন, আজ জুলাই মাসের ১ তারিখ। ২০২৪ সালের এইদিন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সারা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ একটি যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনে নেমে এসেছিল।
তিনি বলেন, সেই আন্দোলনে যখন খুনি হাসিনার সরকার পুলিশ এবং ছাত্রলীগ দিয়ে দমন-পীড়ন চালায়, ছাত্র এবং সাধারণ জনগণের ওপরে নির্বিচারে গুলি চালায় ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ জনগণ সবাই এক দফার দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছিল। সেই গণঅভ্যুত্থানে গাইবান্ধায় ৬ জনেরও বেশিসহ সারাদেশে হাজারেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছে।
হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছিল একটা নতুন বাংলাদেশের জন্য জানিয়ে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, এই বাংলাদেশে বৈষম্য থাকবে না, গণতন্ত্র থাকবে। যে বাংলাদেশে কথা বলতে গেলে পুলিশ আপনার ওপর গুলি বর্ষণ করবে না। আপনি যে কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারবেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থান সেই প্রতিবাদ শিখিয়েছে আমাদের।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পথেই বাংলাদেশকে চলতে হবে।
এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাইফুল্লাহ হায়দার, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) আসাদুল্লাহ আল গালিব, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) আবু সাঈদ লিয়ন, সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) নাজমুল হাসান সোহাগ, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ডা. মাহমুদা আলম মিতু, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্য ফিহাদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।