পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ ও জনগণের স্বার্থকে একইভাবে দেখতে হবে। এটিকে আলাদাভাবে চিন্তা করা যাবে না।
‘সমালোচনা ও অসম্মান এক জিনিস নয়’ জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমাদের অসম্মান করার কালচার থেকে সরে আসতে হবে। উন্নয়ন দরকার, তবে পরিবেশকে চিন্তা করেই তা করতে হবে। ’
উপদেষ্টা বলেন, ‘নদী ও বন দখল করে গড়ে উঠেছে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আবাস। তা উচ্ছেদ করতে গেলে মানবিকতার প্রশ্ন আসে। মূলত এসব দখল বাণিজ্য ধরে রেখে রাজনীতি চলে।’
‘বাজেটে পরিবেশের গুরুত্ব তলানিতে থাকে’ উল্লেখ করে বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, নদী, বায়ু, বন নষ্ট করেছেন তা পুনরুদ্ধার করতে তো বাজেট দিতে হবে। পরিবেশের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হবে।
একটি সুন্দর জিনিসকে কীভাবে অসুন্দর করতে হয় তা দেখতে বাংলাদেশে আসতে হবে জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, নদী, বায়ু ও বন উদ্ধারে জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক ঐক্যে পৌঁছাতে হবে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে কোনো অবস্থাতেই পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নয়।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ঢাকার আশপাশে থেকে যদি ইটভাটা দূর না করা যায়, তাহলে বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব নয়। প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে আমাদের সবাইকে বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসতে হবে।