তাকে এসব অন্যায় কাজে বাধা দিলে নিজেকে মেয়রের ও প্রধানমন্ত্রীর লোক বলে তাকে কেউ কিছু করতে পারবেনা। উল্টো মিথ্যা মামলা জড়িয়ে জেলের ভয়ভীতি ও হুমকী দেয়। ভুক্তভোগী পরিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের হস্তক্ষেপে কাউন্সিলর রুহুল আমিনের কবল থেকে মুক্তি চায়।
ভুক্তভোগী আয়েশা আক্তার বেলি ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, কাউন্সিলর রুহুল আমিন ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। কথায় কথায় ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষকে জিম্মি করে রেখেছেন। তার অন্যায় কাজে বাধা দিলে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে তার ছেলে রবিন আমিন, ফারুক আমিন, ইব্রাহীম, রাব্বিসহ তার বাহিনীর লোকজন হামলা করে মানুষকে রক্তাক্ত জখম করে উল্টো মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, ৯ নভেম্বর বুধবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩ ঘটিকার সময় মুরাদপুর হাইস্কুলের সামনে আমার ছেলে আশরাফুল আলম আকাশ এর এসবি এ আর জোন ইন্টারনেট এর তার কাউন্সিলরের ছেলে রবিন আমিন কেটে ফেলে। এসময় উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে আমার বাপ ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ এলাকায় এখন থেকে আমার ইনভেশন টেকনোলজি ইন্টারনেটের ব্যবসা চলবে।
এসময়  আমার ছেলে আকাশ প্রতিবাদ করলে কাউন্সিলর রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তার ২ছেলেসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন পুলিশের উপস্থিতিতে আমার ছেলে আকাশকে বেদম মারধর করে তাকে টেনে হেচড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় আমার মেয়ে স্মৃতি এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে তার গায়ের কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনায় ৯ নভেম্বর রাতেই কদমতলী থানায় কাউন্সিলর রুহুল আমিন ও তার ছেলে ফারুক, রবিন আমিন, রাব্বিকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন।
রাত আনুমানিক বারোটায় কাউন্সিলর রুহুল আমিন উভয়ের মধ্যে ঘটনার বিরোধ মিমাংসার কথা বলে তার মুরাদপুর কাউন্সিলর অফিস কার্যালয়ে ডেকে নেয়। সেখানে কথা চলাকালীন সময়ে একপর্যায়ে কাউন্সিলর রুহুল আমিন ও তার ২ছেলে এবং তার লোকজন উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে দরজা বন্ধ করে রডসহ লাঠি সোঠা দিয়ে আমাদেরকে পিটাতে থাকে। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাসিনা বেগম, নাজিম উদ্দিন, রানাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। 
এলাকার লোকজনের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহন করি।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হলো যেখানে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে আমার ছেলেকে হামলা করেছে সে ঘটনার ভিডিও চিত্রও রয়েছে। থানার লোকজনকে ভিডিও চিত্র দেখালাম এবং অভিযোগ করে বাসায় আসলাম। 
থানায় কেন অভিযোগ দায়ের করলাম সে কারণে কাউন্সিলর পরিকল্পিতভাবে আমাদেরকে ডেকে নিয়ে আমাদের ৪জন নারীসহ ৭/৮জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। সেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা না নিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে কদমতলী থানা পুলিশ। 
তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলর রুহুল আমিন আমাদের উপর বর্বোরোচিত হামলা করে রক্তাক্ত জখমের পরও তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা নেয়নি। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে। এতে রুহুল আমিন ও তার ছেলেরা এবং তার লালিত বাহিনীর লোকজন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা বলছে আগেইতো বলেছি মেয়র, প্রধানমন্ত্রী থানা পুলিশ আমাদের লোক। তারা এখন নতুন করে আমাদের উপর হামলার হুমকী দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,আমি কয়েকটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেত্রী। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস একজন ভালো মানুষ। তার নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে কাউন্সিলর ফায়দা লুটছে। কাউন্সিলর রুহুল আমিনের সকল কর্মকান্ড খতিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে তার কবল থেকে আমাদেরকে রক্ষার দাবী জানাই। এতে একদিকে এলাকার বাসিন্দারা শান্তিতে বসবাস করতে পারবে, অপরদিকে মেয়রের নামে যে দাপট খাটিয়ে অপরাধ করে বেড়াচ্ছে মেয়রও তার অপবাধ থেকে রেহাই পাবে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর রুহুল আমিন ঘটনার অস্বীকার করে বলেন, বেলি ও তার ছেলেরা আমার ছেলের সাথে ঝগড়া করছিল। এসময় আমি তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করি।