এ সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতি এবং আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ছেলে মুয়াজ আরিফ সংবাদমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার দুপুরে বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এ এফ হাসান আরিফ। এরপর তাকে ধানমণ্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। খবর পেয়ে ডি-এইট সম্মেলনে যোগ দিয়ে মিসর থেকে দেশে ফিরেই হাসপাতালে ছুটে যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হাসান আরিফের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানান।
এ ছাড়া হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি হাসান আরিফের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং সমবেদনা জানান। সজ্জন, মৃদুভাষী হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। ল্যাবএইডে আসেন জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমানও। তিনি বলেন, খাঁটি দেশপ্রেমিককে হারাল বাংলাদেশ।
রাজধানীর ধানমণ্ডি ৭ নম্বরের বায়তুল আমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে গতকাল শুক্রবার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
হাসান আরিফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শোক জানিয়েছেন। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ শোক জানিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অ্যাডভোকেট হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ ছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী।