আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর ইউনিটি’র সমাবেশে
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, আমরা সরকারের কাছে এই গণহত্যার বিচার চাই। আমরা পাচার করা অর্থ ফেরত চাই, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ চাই এবং আহত যোদ্ধাদের সুচিকিৎসা চাই। সরকারকে আহ্বান জানাতে চাই, আমাদের দেশ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে যাবে। কিন্তু সেই সুযোগে যদি কেউ আমাদের মাথায় উঠে বসতে চায়, তাদের মাথা থেকে ফেলে দিতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে যোগ দিতে আসা গাড়ি বহরে হামলার বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, গোপালগঞ্জে কীভাবে আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপরে হামলা হয়? প্রশাসন কী করে? যদি কেউ সচিবালয়ে বসে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করে, সেই ষড়যন্ত্রকে সমূলে উৎখাত করতে হবে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত মার্চ ফর ইউনিটি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজধানীর মিরপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসান।
এ সময় তিনি দীর্ঘ পাঁচ মাসেও হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য করবেন না। শহীদ পরিবার ও আহতদের পরিবারদের রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য করবেন না।
এ সময় শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা বলেন, আমার আদরের ধন শহীদ আলভি গত ৪ আগস্ট মিরপুর ১০ নম্বরে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়। শহীদের বাবা হিসেবে শুধু বলতে চাই শহীদ পরিবারই বুঝে শহীদ পরিবারের যন্ত্রণা। যারা সন্তান হারিয়েছি, তারাই তাদের শূন্যতা বুঝতেছে। আমাদের কান্না কখন থামবে? এই শোক কখনোই কাটবে না।
আবুল হাসান বলেন, জুলাই-আগস্টে খুনি হাসিনা নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তাদের হেলমেট বাহিনী পাখির মতো আমাদের সন্তানদের হত্যা করেছে। হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করা হোক। তাহলেই শহীদের আত্মা শান্তি পাবে।
অনতিবিলম্বে শেখ হাসিনাসহ দোসরদের বিচার না হলে শহীদ পরিবারগুলোকে নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।