তারপরও হার এড়াতে পারেনি মায়ামি।
রোববার (১১ মে) সকালে ইন্টার মায়ামিকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে মিনেসোটা ইউনাইটেড। যুক্তরাষ্ট্রের দলটির হয়ে খেলা ম্যাচগুলোর মধ্যে মেসির সবচেয়ে বড় পরাজয় এটিই। আগের বড় পরাজয় ছিল ৩-১ গোলে, ভিন্ন তিন ম্যাচে।
এদিন ঘরের মাঠে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ইউনাইটেড। এতে ৩২তম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে মায়ামি। সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে ডান পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন লংওয়ানে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডার অ্যান্টনি মার্কানিক।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল পরিশোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে মায়ামি। মেসির দুর্দান্ত নৈপুণ্যে গোলও পেয়ে যায় তারা। জর্দি আলবার পাস বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
মায়ামির হয়ে টানা চার ম্যাচে গোলহীন থাকার পর টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জালের দেখা পেলেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’র জয়ী। মেসির ওই গোলে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা জাগালেও ৬৮ থেকে ৭০ মিনিটের মধ্যে আরও দুই গোল হজম করে মায়ামি।
প্রথমে আত্মঘাতী গোল করেন মায়ামির ডিফেন্ডার মার্সেলো উইগান্ট। কর্নারের প্রতিপক্ষের হেড ক্লিয়ারের চেষ্টায় দূরের পোস্টে হেডে নিজেদের জালেই বল পাঠান তিনি। আর বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরাল শটে চোখধাঁধানো গোলে মায়ামির কফিনে চতুর্থ পেরেক ঠুকে দেন রবিন লুদ। এতে ৪-১ গোলের হার নিয়ে মাঠে ছাড়ে মায়ামি।
এতে ১০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকার চারে আছে মায়ামি। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কলম্বাস ক্রু।